খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক, ১৪৩১

চোরের হাতে ডিউটিরত নাইট গার্ড খুন

সুজন ওরফে ডিপজল চোরের হাতে ডিউটিরত নাইট গার্ড খুন

ঢাকা থেকে :
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
সুজন ওরফে ডিপজল চোরের হাতে ডিউটিরত নাইট গার্ড খুন

Oplus_131072

নিজস্ব প্রতিনিধি : মোহাম্মদপুর থানাধীন ঢাকা উদ্যানে বিগত কয়েকটি দুর্ধর্ষ খুনের কারনে শংকিত ঢাকা উদ্যানবাসী। এবার রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন, ঢাকা উদ্যানের বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের হাউজিং এর নাইট গার্ড, মোঃ রবিউল ইসলামকে চাকু দিয়ে ছুড়িকাঘাত করে খুন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহত রবিউলের বড় ভাই মোঃ আশরাফুল আলম (৪০) মোহাম্মদপুর থানায় ১টি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৫, ১১/১০/২০২৪ ইং।
মামলার এজাহারে রবিউলের বড় ভাই উল্লেখ করেন, আমার মেজ ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৪), তার স্ত্রী চাঁদনী বেগম তাদের ছেলেমেয়ে সহ মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান, রোড নং-২, ব্লক-সি, বাসা নং-২৬ ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করিয়া মোহাম্মদপুর থানাধীন, ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের হাউজিং এর নাইট গার্ডের চাকুরি করিতো। ১১/১০/২০২৪ ইং হতে রাত অনুমান ১.০০ ঘটিকার সময় আমার চাচাতো ভাই জিকরুলের মোবাইল হতে জানায় যে, আমার মেজ ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৪) এর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। কিছুক্ষণ পরে আমার চাচাতো ভাই জিকরুল আমাকে পুনরায় ফোন করে জানায়, আমার ভাই রবিউল ইসলাম মারা গেছে এবং তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। আমি উক্ত সংবাদ পাইয়া আমার গ্রামের বাড়িতে আমার বাবা ও মাকে এবং নিকট আত্মীয়-স্বজনকে জানাইয়া আমার স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত রওনা করিয়া উক্ত হাসপাতালে পৌঁছাই। উক্ত হাসপাতালে উপস্থিত লোকজনসহ ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড হাউজিং এর সহকারী ম্যানেজার মোঃ দেলোয়ার হোসেন ছায়েদী ও সিকিউরিটি সুপারভাইজার মোঃ আব্দুল হান্নান মোবাইল ফোনে দেখানো মতে, আমার ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম এর লাশ সনাক্ত করি। ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতির লিমিটেড হাউজিং এর সহকারী ম্যানেজার ও তাদের সিকিউরিটি সুপারভাইজারদের নিকট হইতে আমার ভাই মোঃ রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে খবর নিয়ে জানা যায় যে, ১০/১০/২০২৪ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার ভোররাত অনুমান পাঁচটায় লোহার রড চুরি করিয়া নিয়ে যাওয়ার সময় আমার ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৪) তার সঙ্গীয় অন্যান্য নাইটগার্ড মাহফুজ, আব্দুল মালেক, মোঃ সেলিম মিলে লোহার রড চুরির সাথে জড়িত চোর সুজন ওরফে ডিপজল (২২) সহ তার সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন চোরদের ধাওয়া করে তাদের নিকট থেকে লোহার রড আটক করে, ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতির লিমিটেড হাউজিং এর ভেতর নিয়ে আসে।পরবর্তীতে আমার ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৪) বৃহস্পতিবার ১০/১০/২০২৪ ইং তারিখ অনুমান ১০ঃ১৫ ঘটিকায় মোহাম্মদপুর থানাধীন ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের হাউজিং, ব্লক-এ, রোড নং-৩ এর জাকিরের দোকানের সামনে নাইট গার্ডের ডিউটি করার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অজ্ঞাতনামা ৫-৭জন ব্যক্তিদের সহায়তায় আসামী সুজন ওরফে ডিপজল (২২) তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাই মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম (৩৪)এর পেটে ও বাম হাতের বাহুতে, এলো পাথারি আঘাত করিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার দিনের উক্ত সময়ের আশেপাশে সিসি ফুটেজ ক্যামেরায়ও তা পরিলক্ষিত হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক, আমার ভাই মোঃ রবিউলকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

সরেজমিনে জানা যায়, আসামি সুজন ওরফে ডিপজল(২২) এর পিতা মোঃ আনছু। ঠিকানা- ব্লক-এ, রোড নং-৩, ঢাকা উদ্যান, থানা- মোহাম্মদপুর।

নিহত রবিউলের স্ত্রী চাঁদনী বলেন, আমার দুটি বাচ্চা আছে। বাচ্চা দুটি নিয়ে কিভাবে খাব, কিভাবে চলবো? আমার মেয়ে একটা ক্লাস সিক্সে পড়ে, ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে। এখন তো আমার দেখার মতো কেউ নাই, আমি খুব অসহায়।ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সিকিউরিটি গার্ড ছিল আমার স্বামী। তাদের কাছে আমি আমার পরিবারের জন্য সার্বিক সহযোগিতা চাচ্ছি এবং সরকারের কাছে আমার স্বামী হত্যার দ্রুত বিচার চাই।

রবিউলের মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলে বলেন, ঘটনার দিন রাতে বাসা থেকে আমার আব্বু ডিউটিতে যাওয়ার সময়,আব্বুকে পরোটা নিয়ে আসার জন্য বলেছিলাম। আব্বু বলছে ঠিক আছে আনমু। রাত ১০ঃ৩০ ঘটিকায় খবর এসেছে আমার আব্বুকে সন্ত্রাসীরা ছুরি মেরেছে। আমার আম্মু সেখানে গিয়েছে। আমি অনেক কান্না করেছি। আমার আব্বুকে যারা খুন করেছে তাদের বিচার চাই।

সিকিউরিটি গার্ডের সুপারভাইজার মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, নাইটগার্ড রবিউল ইসলাম অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি সুজন ওরফে ডিপজল (২২) নাইট গার্ড রবিউল ইসলামকে হত্যা করে। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই মোঃ আশরাফুল আলম মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত আসামিকে ধরে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

উক্ত বিষয়ে, ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সেক্রেটারি ফজলুল করিম বাদল বলেন, আমরা এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই প্রশাসনের কাছে। প্রশাসন যেন দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসে। এলাকার মানুষের নিরাপত্তার কাজে নাইট গার্ডরা দায়িত্ব পালন করে। তাদের যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে তারা কিভাবে কাজ করবে। এ সমস্ত যারা সিকিউরিটি গার্ড আছে তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে প্রশাসনের। আমরা প্রশাসনের কাছে রবিউল হত্যার দ্রুত বিচার চাই। আমরা ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে আমাদের নাইট গার্ড রবিউলের পরিবারের পাশে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।

উক্ত মামলার বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, আলী ইফতেখার হাসান জানান, উক্ত ঘটনা জানার পর থেকেই, আমাদের পুলিশ বাহিনীর ২টি টিম আসামিকে ধরার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী আমরা আসামিকে ধরার জন্য আইডেন্টিফাই করছি। আসামি সুজন ওরফে ডিপজলের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা আমরা তদন্তাধীন রেখেছি। খুব দ্রুত আসামী ধরা পড়বে আশাবাদী।

সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগজ্ঞ থেকে :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকারের একেবারেই গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের আয়োজনে শহরের কাজির পয়েন্টস্থ এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার ১২টি উপজেলার ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করে বলেন আমরা স্থানীয় সরকারের একেবারেই গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তৃণমূলের উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সব সময় সাম্যের ভিত্তিতে স্ব স্ব পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র গঠন ও সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। গত জুলাই ও আগষ্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মাঠে ছিলেন দাবী করে বলেন এই আন্দোলনে ফ্যাসিস স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়। যারা ফ্যাসিস সরকারের দোসর ছিলেন তারা পালিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা পালিয়ে যাননি। বরং তারা এই সরকারের সমস্ত দিক নির্দেশনা মেনেই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরো উল্লেখ করেন ছাত্রজনতার আন্দোলনে দ্বিতীয় দফা স্বাধীন বাংলাদেশের জনগনের প্রাপ্য সকল সরকারী সেবা তৃণমূলে পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান এই অন্তবর্তীকালীন সরকার সকল ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার যে চিন্তাভাবনা করছেন এতে ভেঙ্গে পড়তে পারে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম এবং সরকারের জনকল্যাণ মূলক উদ্যোগ। ফলে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার ফলে জাতীয় সনদ,জন্ম-নিবদ্ধন,মৃত্যু নিবদ্ধন,ওয়ারিশান সার্টিফিকেট,প্রত্যয়নপত্র,নাগরিকত্ব সনদপত্র,ট্রেড লাইন্সেস,বিভিন্ন ভাতাদি ও সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কার্ড পেতে ভোগান্তি বাড়তে পারে এবং সামাজিক ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্থ হতে পারে।

অবিলম্বে এই ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে তৃণমূলের জনগনের মাঝে এই ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে কিভাবে সেবার মান আরো বাড়ানো যায় সেইদিকে খেয়াল দিতে সরকারের নিকট দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন চেয়ারম্যানবৃন্দরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,লক্ষণশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ,রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই,সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা,পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জগলুল হায়দার,মোল্লাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন,পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীদার খোকন,আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান,রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল ,জাহাঙ্গীর নগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ,করিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস,গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী,জগদল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ন রশিদ,বাদাঘাট দক্ষিন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছবাব মিয়া,ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান তালুকদারসহ অনেকেই।

ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা

জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দে কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা

গাজীপুর থেকে :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ণ
জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দে কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : জেলিযুক্ত চিংড়ি বিক্রি করায় কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে কালীগঞ্জ বাজারে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযানের অংশ হিসেবে উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ এর ৩৩ ধারায় একটি মামলায় পৌরসভার চান্দাইয়া গ্রামের হরেন্দ্র দাসের পূত্র হরে রাম (৪০) কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। তাছাড়া ১০ হাজার টাকা মূল্যের জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে জনসম্মুখে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বিনষ্ট করা হয়। জরিমানা প্রদান করেন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি।
বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি প্রতিবেদককে বলেন, অভিযানে ১৬ কেজি জেলি যুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়। ওজন বৃদ্ধিতে চিংড়ি মাছের ভিতর জেলি ব্যবহার করা হয়। এধরনের মাছ খাওয়ার ফলে ক্যানসার হওয়ার ঝুকি রয়েছে।
এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু সামা, বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুল ইসলাম ও আনসার সদস্যবৃন্দ।

কালীগঞ্জ,গাজীপুর
১৭/১০/২৪ইং

মাদকসেবী সহ গ্রেফতার ৭

সহকারী পুলিশ সুপার, মধুপুরের নেতৃত্বে ৩ জন মাদকসেবী সহ গ্রেফতার ৭

মধুপুর থেকে :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
সহকারী পুলিশ সুপার, মধুপুরের নেতৃত্বে ৩ জন মাদকসেবী সহ গ্রেফতার ৭

আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৩ জন মাদকসেবী সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।
সহকারী পুলিশ সুপার,মধুপুর সার্কেল ফারহানা আফরোজ জেমির নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ জন মাদকসেবীসহ সহ ৭ জন আসামীকে আটক করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। এদের মধ্যে এজাহার নামীয় আসামী মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার খন্দকার হোসেন আলীর ছেলে খন্দকার নাজমুল হোসেন (৩৪)
ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি জলছত্র এলাকার মৃত তাজু শেখের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান ওরফে সাজু,
চাকন্ড গ্রামের মজিবুর রহমান এর ছেলে দেলোয়ার হোসেন, পৌর শহরের বয়েল মোড় এলাকার মাসুদ পারভেজ এর স্ত্রী রিনা পারভেজ, মাদকসেবী গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দীন এর ছেলে শাহীন, একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহীন, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে লিটন।
মধুপুর থানার দায়িত্ব ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাসেল আহমেদ পিপিএম জানান, সহকারী পুলিশ সুপার মধুপুর সার্কেল ফারহানা আফরোজ জেমি স্যারের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত ৩ জন মাদক সেবন করে মাতলামী করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, একই দিনে পৃথক মামলায় ওয়ারেন্টের তিন আসামী এবং নিয়মিত মামলার ১ আসামীকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে।