খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক, ১৪৩১

সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি মাদ্রাসা পরিদর্শন

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি মাদ্রাসা পরিদর্শন

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সোনারগাও (আরোয়া) হাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মাওলানা আ. রহমান, সুপার মাওলানা আ. সালাম সিকদার ওরফে ইকবাল হোসেন ও ক্বারী সোয়াইব হোসেনের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগের পর তদন্ত কর্মকর্তা মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছেন।

রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে যান তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল। এসময় মাদ্রাসার কর্মরত ৯জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ৪জন কর্মচারী, শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে চলতি বছরের ২১শে আগষ্ট এলাকাবাসীর পক্ষে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. আব্দুল হাকিম সিকদার লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন। এঘটনায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মোজাম্মেলকে তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্র থেকে জানাগেছে, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৫ সালের ২৫শে নভেম্বর স্থানীয় সোয়াইব হোসেন নামে একজন ব্যক্তি এবতেদায়ী ক্বারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরে ১৯৮৭ সালের ২০শে নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপার হন৷ এরপরে ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারী হতে ২০০৯ সালের ১লা জানুয়ারী পর্যন্ত তার চাকুরী ছিলো না। তিনি জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল অবৈধভাবে বর্তমান সুপার আ. সালাম সিকদারকে নিয়োগ দেন। এরপরে আ. সালাম সিকদার কমিটি ও মঞ্জুরি ছাড়াই জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে পূনরায় সোয়াইব হোসেনকে নিয়োগ দেন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারি হতে পরবর্তী ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর পর্যন্ত কোন কমিটি ছিলো না। অথচ প্রতিষ্ঠানটিতে তখন ২জন শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। ২০১০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মাদ্রসার শিক্ষাবোর্ড কোন কমিটি অনুমোদন দেননি। এরপরে ২ বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন দিলেও পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত কোন কমিটি অনুমোদন দেননি। অথচ সুপার আ. সালাম সিকদার তার ভাই মো. আবুল কালামকে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র মৌলভী পদে মাদ্রাসায় ভুয়া নিয়োগ প্রদান করেন। এছাড়াও ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল সহকারী শিক্ষিকা পদে মোসা. শায়লা পারভীন, সহকারী শিক্ষক পদে মোঃ মাহাবুব হাওলাদার, ও অফিস সহকারী শ্রী তপন কুমারকে নিয়োগ প্রদান করেন। ১০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সহ সুপার পদে মাওলানা আমিনুল ইসলাম, সহকারী মৌলভী পদে মোঃ মাসুম বিল্লাহকে কমিটি ও মঞ্জুরি বিহীন অবস্থায় নিয়োগ প্রদান করেন। এরপর ২০১৬ সালের ৫ আগষ্ট ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী মঞ্জুরি ও কমিটি বিহীন অবস্থায় দপ্তরী পদে মোঃ আলম সিকদার ও নৈশ প্রহরী পদে মোঃ সেলিম সিকদারকে নিয়োগ দেন।

অভিযোগকারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. আব্দুল হাকিম সিকদার বলেন, ২০০০ সালে সৌদি চলে যায় আবুল কালাম তার নিয়োগ কিভাবে ২০০৪ সালে হয়? মাদ্রাসার নবায়ন এবং কমিটির সভাপতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে মঞ্জুরি বিহীন অবস্থায় যেসকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা বাতিলের দাবি জানাই।আমি যতবারই দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেই তদন্ত কর্মকর্তা আসবে বলে আমাকে নোটিশ দিয়ে জানায়। আসার পর বলে আজকে সম্পূর্ণ হয়নি কিছু কাগজপত্র বাকি আছে আগামীদিন আসবো পরে আর আমাকে কিছু জানায় না।

অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক মো. আবুল কালাম বলেন, ২০০৪ সালে নিয়োগপ্রপ্ত হওয়ার পর আমার বেতন ভাতা বন্ধ ছিলো। জীবন বাঁচার তাগিদে দেশের বাহিরে চলে যাই। এমপিও ভুক্ত হওয়ার ৬ মাস আগে দেশে এসে মাদ্রাসায় যোগদান করি।

অভিযোগ অস্বীকার করে সুপার মাওলানা আ. সালাম সিকদার ওরফে ইকবাল হোসেন বলেন, ২০১২ সালে মাদ্রাসার সুপার পদে নিয়োগ হয়। এরপর তিনি ৪ থেকে ৫টি নিয়োগ দেন। এই নিয়োগের বিরুদ্ধে সকল দপ্তরে মামলা হইছে। সকল মামলার তদন্ত হইছে আমার বিরুদ্ধে আনা সকল দূর্নীতি ও অনিয়ম মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি মাওলানা আ. রহমান বলেন, ডিসি, ইউএনও এবং শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা।

এবিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মোজাম্মেল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসায় তদন্তের জন্য গিয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি এবং কাগজপত্র নিয়েছি এসেছি।কিছু কাগজপত্র বাকি আছে সেগুলো দেখে পর্যাচলনা করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগজ্ঞ থেকে :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকারের একেবারেই গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের আয়োজনে শহরের কাজির পয়েন্টস্থ এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার ১২টি উপজেলার ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করে বলেন আমরা স্থানীয় সরকারের একেবারেই গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তৃণমূলের উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সব সময় সাম্যের ভিত্তিতে স্ব স্ব পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র গঠন ও সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। গত জুলাই ও আগষ্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মাঠে ছিলেন দাবী করে বলেন এই আন্দোলনে ফ্যাসিস স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়। যারা ফ্যাসিস সরকারের দোসর ছিলেন তারা পালিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা পালিয়ে যাননি। বরং তারা এই সরকারের সমস্ত দিক নির্দেশনা মেনেই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরো উল্লেখ করেন ছাত্রজনতার আন্দোলনে দ্বিতীয় দফা স্বাধীন বাংলাদেশের জনগনের প্রাপ্য সকল সরকারী সেবা তৃণমূলে পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান এই অন্তবর্তীকালীন সরকার সকল ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার যে চিন্তাভাবনা করছেন এতে ভেঙ্গে পড়তে পারে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম এবং সরকারের জনকল্যাণ মূলক উদ্যোগ। ফলে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার ফলে জাতীয় সনদ,জন্ম-নিবদ্ধন,মৃত্যু নিবদ্ধন,ওয়ারিশান সার্টিফিকেট,প্রত্যয়নপত্র,নাগরিকত্ব সনদপত্র,ট্রেড লাইন্সেস,বিভিন্ন ভাতাদি ও সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কার্ড পেতে ভোগান্তি বাড়তে পারে এবং সামাজিক ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্থ হতে পারে।

অবিলম্বে এই ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে তৃণমূলের জনগনের মাঝে এই ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে কিভাবে সেবার মান আরো বাড়ানো যায় সেইদিকে খেয়াল দিতে সরকারের নিকট দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন চেয়ারম্যানবৃন্দরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,লক্ষণশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ,রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই,সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা,পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জগলুল হায়দার,মোল্লাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন,পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীদার খোকন,আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান,রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল ,জাহাঙ্গীর নগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ,করিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস,গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী,জগদল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ন রশিদ,বাদাঘাট দক্ষিন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছবাব মিয়া,ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান তালুকদারসহ অনেকেই।

ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা

জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দে কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা

গাজীপুর থেকে :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ণ
জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দে কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : জেলিযুক্ত চিংড়ি বিক্রি করায় কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে কালীগঞ্জ বাজারে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযানের অংশ হিসেবে উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ এর ৩৩ ধারায় একটি মামলায় পৌরসভার চান্দাইয়া গ্রামের হরেন্দ্র দাসের পূত্র হরে রাম (৪০) কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। তাছাড়া ১০ হাজার টাকা মূল্যের জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে জনসম্মুখে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বিনষ্ট করা হয়। জরিমানা প্রদান করেন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি।
বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি প্রতিবেদককে বলেন, অভিযানে ১৬ কেজি জেলি যুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়। ওজন বৃদ্ধিতে চিংড়ি মাছের ভিতর জেলি ব্যবহার করা হয়। এধরনের মাছ খাওয়ার ফলে ক্যানসার হওয়ার ঝুকি রয়েছে।
এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু সামা, বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুল ইসলাম ও আনসার সদস্যবৃন্দ।

কালীগঞ্জ,গাজীপুর
১৭/১০/২৪ইং

মাদকসেবী সহ গ্রেফতার ৭

সহকারী পুলিশ সুপার, মধুপুরের নেতৃত্বে ৩ জন মাদকসেবী সহ গ্রেফতার ৭

মধুপুর থেকে :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
সহকারী পুলিশ সুপার, মধুপুরের নেতৃত্বে ৩ জন মাদকসেবী সহ গ্রেফতার ৭

আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৩ জন মাদকসেবী সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।
সহকারী পুলিশ সুপার,মধুপুর সার্কেল ফারহানা আফরোজ জেমির নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ জন মাদকসেবীসহ সহ ৭ জন আসামীকে আটক করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। এদের মধ্যে এজাহার নামীয় আসামী মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার খন্দকার হোসেন আলীর ছেলে খন্দকার নাজমুল হোসেন (৩৪)
ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি জলছত্র এলাকার মৃত তাজু শেখের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান ওরফে সাজু,
চাকন্ড গ্রামের মজিবুর রহমান এর ছেলে দেলোয়ার হোসেন, পৌর শহরের বয়েল মোড় এলাকার মাসুদ পারভেজ এর স্ত্রী রিনা পারভেজ, মাদকসেবী গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দীন এর ছেলে শাহীন, একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহীন, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে লিটন।
মধুপুর থানার দায়িত্ব ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাসেল আহমেদ পিপিএম জানান, সহকারী পুলিশ সুপার মধুপুর সার্কেল ফারহানা আফরোজ জেমি স্যারের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত ৩ জন মাদক সেবন করে মাতলামী করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, একই দিনে পৃথক মামলায় ওয়ারেন্টের তিন আসামী এবং নিয়মিত মামলার ১ আসামীকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে।