খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

রূপসায় নেহালপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসী নদী ভাঙ্গনে আতংকিত 

শেখ শহিদুল্লাহ্ আল্ আজাদ, খুলনা থেকে :
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৩৭ অপরাহ্ণ
রূপসায় নেহালপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসী নদী ভাঙ্গনে আতংকিত 

Oplus_131072

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. খুলনা প্রতিনিধি : খুলনা জেলায় রূপসা উপজেলার ৩নং নৈহাটি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড নেহালপুর ও দেবীপুর এলাকায় আঠারোবেঁকী নদীর পাশে গড়ে উঠা আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিবাসিরা  নদী ভাঙ্গনের ফলে চরম আতংকে দিনযাপন করছে। এ দিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় প্রথম ধাপে:-২৩টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৩৯ টি মোট ৬২ টি ঘর। উক্ত ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সহায় সম্বলহীন মানুষগুলি, সহায় সম্বলহীন মানুষ উপহারের ঘরে বসবাসের পাশাপাশি নদীর পাশ দিয়ে গড়ে তুলছেন কৃষি খামার, এখান থেকে নানা রকম সবজি চাষের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সে সকল সবজি বাজারে বিক্রয় করে ও অর্জন করেছে মুনাফা। এখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রয়েছে দুই টি সুবর্ণ নাগরিক.(প্রতিবন্ধী) পরিবার ও বসবাস করে আসছে সকলে, ঘর পেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করলেও তাদের আতংক শুধু নদী ভাঙ্গন নিয়ে যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা মানুষ গুলির কৃষি জমি এবং কৃষি জমি শেষ হলেই চলাচলের রাস্তা এবং রাস্তা শেষ হলেই নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় সম্বলহীন মানুষের জমিসহ ঘর। রূপসায় নেহালপুর আশ্রয় প্রকল্পে থাকা সুবর্ণ নাগরিকের পরিবারসহ সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আমাদের বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ছিলোনা যেখানে আমরা বা আমাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারতাম, সরকারি ভাবে আমাদের বিনামূল্যে প্রদান করেছেন এই স্থানী বাসস্থান। তবে নদী ভাঙ্গনের ফলে আবারও হারানোর পথে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসের জন্য জমি সহ ঘর। ঘর তৈরির সময় আঠারোবেঁকী নদী ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করেন, যা আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা ৬২ ঘরের তিন ভাগের একভাগ। এ দিকে বাকি দুই ভাগ ভাঙ্গন রোধে রূপসার ৩নং নৈহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গাবগাছ ও টিন দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল, নদী ভাঙ্গনের ফলে অনেক আগেই বিলীন হয়েছে সে বাঁধ। এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুর বস্তুা দিয়ে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল তা অধিকাংশ স্থান নদী গর্বে বিলীন হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই আঠারোবেঁকী নদীর পাশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কৃষি জমি বড় বড় আকারে ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হতে শুরু করেছে। এ দিকে নদী ভাঙ্গনের ফলে দিনদিন এগিয়ে আসছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা অসহায় সহায় সম্বলহীন মানুষের ঘরের দিকে। নদী ভাঙ্গনের ফলে যে কোন সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো বিলীন হতে পারে আঠারোবেঁকী নদী গর্ভে, সকল সময় আতংকিত রয়েছেন, নেহালপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসী। আমরা সকল সময় আতংকিত, কখন না জানি জমি সহ ঘর আমাদের শেষ আশ্রয়স্হল ও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তাঁরা আরও বলেন, আমরা রূপসা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করে আসছি। আমাদের জোরদাবী নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ সহ  উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমরা যাতে পরিবার নিয়ে এখানে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।

কালীগন্জে পুলিশের মাদক অভিযানে আটক ৩

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:৪৯ অপরাহ্ণ
কালীগন্জে পুলিশের মাদক অভিযানে আটক ৩

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ মাদক বিরোধী অভিযানে কালীগঞ্জে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা ও চোলাই মদ এবং মাদক বিক্রির টাকাসহ আটক করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার পৌরসভার বাঙ্গালহাওলা ও নাগরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বাঙ্গালহাওলা এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের পূত্র ইয়াসির আরাফাত শেখ (৩৫), ওমর আলীর পূত্র রহিম শেখ (৪৫) এবং নাগরী ইউনিয়নের পানজোড়া এলাকা হতে চোলাই মদসহ কাসেম কাজির পূত্র হালিম কাজিকে আটক করা হয়।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আরাফাত শেখের নিকট হতে ৩৩ টি ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ৩ হাজার ৮০০ টাকা, রহিম শেখের নিকট হতে ১৮ টি ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং হালিম কাজির নিকট হতে চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। তারা তিন জনই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সনের ১০(ক) ধারায় মামলা হয়েছে।

মামলা নং২৫(১১)২৪ ও ২৬(১১)২৪। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন প্রতিবেদককে বলেন, অভিযানে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ছাতকে পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মিজবাহ উদ্দিন গ্রেফতার

ছাতক প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
ছাতকে পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মিজবাহ উদ্দিন গ্রেফতার

ছাতক প্রতিনিধি: ছাতক থানা পুলিশের অভিযানে ০৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মিজবা ওরফে মিজবাহ উদ্দিন (৩৭) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৯ নভেম্বর রাতে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসানের নির্দেশনায় এএসআই মোহাম্মদ তোলা মিয়া, এএসআই মোঃ তোহা সঙ্গীয় ফোর্স সহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জিআর-২২৬/১০ (ছাতক) কে গ্রেফতার করা হয়।

আসামী ছাতক উপজেলার সেওতরপাড়া গ্রামের রজব আলীর পুত্র। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসান ০৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মিজবা ওরফে মিজবাহ উদ্দিন কে গ্রেফতারের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ছাতক ইসলামিক সোসাইটি ইউ কে এর সেক্রেটারী ব্যারিষ্টার এনামুল হক শাহিন কে সম্মাননা স্মারক প্রদান

ফজল উদ্দিন ছাতক প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
ছাতক ইসলামিক সোসাইটি ইউ কে এর সেক্রেটারী ব্যারিষ্টার এনামুল হক শাহিন কে সম্মাননা স্মারক প্রদান

ফজল উদ্দিন ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দশঘর (লক্ষিপুর) গ্রামের কৃতি সন্তান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী, তরুন সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী, ছাতক ইসলামিক সোসাইটি ইউ কে এর সেক্রেটারী, ব্যারিষ্টার এনামুল হক শাহিন স্বদেশে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে (২০ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে) যুক্তরাজ্যে যাত্রা উপলক্ষ্যে দশঘর যুব সমাজ এর পক্ষ থেকে সিলেট’স্থ তার বাসভবনে সৌজন্যে সাক্ষাৎ শেষে যুব সমাজের পক্ষ থেকে “সম্মাননা স্মারক”প্রদান করা হয়। যুব সমাজ কর্তৃক আয়োজিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্দ্যোগে “৭ম তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ২০২৫ ” (৮ই জানুয়ারী ২০২৫) এর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা ও মসজিদের কাজে সকল ধরনের সহযোগিতায় পাশে থাকবেন বলে যুব সমাজের নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন। এমনকি গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনার বিষয় নিয়ে যুব সমাজের নেতৃবৃন্দ সাথে আলোচনা করেন। মাদ্রাসার হিফজ্ শাখা নিয়ে চমৎকার পরিকল্পনা আমাদের কে নতুন আশা জাগিয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সালাউদ্দিন আহমদ, মাস্টার রেজ্জাদ আহমদ, সাংবাদিক ফজল উদ্দিন, বদরুল ইসলাম, শামীম আহমদ, সাকলান আহমদ প্রমুখ। সেই সাথে বিগত দু’দিন পূর্বে গ্রামের মাদ্রাসার দাখিল শাখার একজন সাবেক ছাত্র হিসেবে বেলা ৩. ০০টায় ভিজিটে গিয়ে শ্রেনি কার্যক্রম / অফিস কার্যক্রম বন্ধ পেয়েছেন, যেখান ৩.৩০ / ৪. ০০ টা পর্যন্ত শ্রেনি কার্যক্রম চলমান থাকার কথা সেখানে মাদ্রাসাটি বন্ধ পেয়ে খুব দুঃখ প্রকাশ করেন। তারপরও দাখিল শাখা নিয়ে উনার খুব সুন্দর চিন্তাভাবনার কথা নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন। আল্লাহ পাক যেন এই সব ভাল কাজের পরিকল্পনা গুলো ব্যস্তবায়নের তাওফিক দান করেন। নিরাপদ যাত্রার জন্যে তিনি সবার কাছে দোয়া রইলো প্রার্থী।