কালীগঞ্জে বিএনপির নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলায়
মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিএনপি নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় মামলা। আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে। বিএনপি নেতৃবৃন্দের তীব্র নিন্দা ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাউছার মাহমুদ লাল মিয়ার সাথে উত্তর দেওপাড়া গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. শাহ আলম ভূইয়া, সেলিম ভূইয়া ও আব্দুল গাফফার ভূইয়া, মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে ইমান আলী এবং সুরুজ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন বিষয়ে শক্রুতা পোষণ করে আসছে। গত ১২ নভেম্বর সারে ১২টার দিকে মো. কাউছার মাহমুদ লাল মিয়া কালীগঞ্জ বাজার হতে দেওপাড়া ফেরীঘাট পৌছলে পূর্ব হতে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মো. কাউছার মাহমুদ লাল মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী মারধোর করে দুই হাত ও দুই পা ভেঙ্গে ফেলে। পীঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। বাম চোখে কিল ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্থাণীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জরুরী ভিত্তিতে কালীগঞ্জ উপজেলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সংবাদ লেখা পর্যন্ত মো. কাউছার মাহমুদ লাল মিয়া ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আহতের স্ত্রী মোসা. রাশিদা আক্তার বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ২১(১১)২৪ নং মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এ নিয়ে স্থাণীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অনতি বিলম্বে আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, মো. কাউছার মাহমুদ লাল মিয়ার উপর হামলার ঘটনায় থানায় ২১(১১)২৪ নং মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন