খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ

বাহুবলে অনাবাদি উঁচু জমি খনন করে তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি খনন করার দাবিতে কৃষক ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ 

কৃষকদের স্বার্থে উচু জমি খনন করা জরুরি বলে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে কৃষকরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শাহাপুর ও কান্দিগাঁও গ্রামের মাঠে বোরো মৌসুমে সহস্রাধিক একর জমি প্রায় এক যুগ থেকে অনাবাদি পড়ে আছে। মাঠের মাঝখান দিয়ে কোন খাল খনন না থাকায় ও সেচ সুবিধা না পাওয়ায় আমন চাষের পর এসব জমি খালি পড়ে থাকে। উঁচু জমি খনন করলে অথবা একটি খাল খনন করলে এসব জমিতে মৌসুমে ৫শ’ মেট্রিক টন চাল বেশী উৎপাদন সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। উঁচু জমি খননে বাঁধা দেয়ায় বিপাকে পড়েছে কয়েক হাজার কৃষক। এতে পানির অভাবে কৃষকদের ৪ হাজার একর কৃষি জমিতে এবারের মৌমুমে ফসল আবাদে বিঘ্ন ঘটছে। যার ফলে উঁচু ফসলি জমি‌ খনন করে তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি খনন করার দাবিতে মাঠে নেমেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।

তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি খনন করার দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত শত শত কৃষক প্রশাসনকে গণস্বাক্ষরসহ লিখিতভাবে অবহিত করেছে।

৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার শাহাপুর ও কান্দিগাঁও গ্রামের শত শত কৃষক রাস্তায় ও তাদের ফসলি জমিতে দাঁড়িয়েই মানববন্ধন করেন।

ভুক্তভোগী কৃষক ও স্থানীয়রা জানান, উঁচু জমি খননের উদ্যেগ নেয়া হলে তাতে অসাধু ব্যক্তি বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। তাই উঁচু জমি খননে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।

জানা যায়, বাহুবল উপজেলার কান্দিগাঁও ও শাহাপুর এবং জয়পুর গ্রামের কৃষকদের চাষাবাদের জন্য একমাত্র অবলম্বন মধ্য শাহাপুর নামে পরিচিত জমির মাঠটি। কিন্তু মাঠের মাঝখান দিয়ে খরস্রোত খাল বা নালা আমন চাষের পর এসব জমি খালি পড়ে থাকে । কোথাও কোথাও মাটি জমে জমি উঁচু হয়ে রয়েছে। বোরো মৌসুমে দেখা দেয় পানির তীব্র সংকট।

জমির মালিক ফারুক মিয়া বলেন, আজকে যারা ভালো মানুষ যাচ্ছে তারাই তিন থেকে চার বছর ধরে মাটির ব্যবসা করছে তারা যে কোন মাটি টেনেছে চার ফুট পাসপোর্ট করে গর্ত করেছে বিদায় আমার জমি গুলো অকেজো হয়ে গেছে আমার মতন আরও অনেকে আছে জমি গুলো অকুজো উপযুক্ত পানি না থাকার কারণে জমি গুলো ও কৃষি কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

অজয় দেব নামে এক কৃষক বলেন, আমাদের উঁচু জমি খনন করে তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি খনন করার দাবিতে কৃষক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি। কারো জমি নিচু আবার কারো জমি উচু। যাদের জমি উচু তারা বোরো ধান চাষ করতে পারছে না। তাই আমার উচু জমি খনন করতে চাই।

বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ মিলন মিয়া বলেন, এখানে যারা আছে সবাই জায়গার মালিক, সবাই স্থানীয়।তিনি তার বক্তব্যে সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানান যে,আমরা উঁচু জমি খনন করে তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি করা কৃষকদের স্বার্থে উচু জমি খনন করা জরুরি । আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

স্থানীয় ৭ বারের ওয়ার্ড মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক হাবিব উল্লা বলেন, আমি জনগণের জনপ্রতিনিধি, আমি চাই উঁচু জমি গুলো ও অনাবাদি জমি গুলো খনন করে তিন ফসলি জমি চাষ করার উপযোগী করা দরকার। বিভিন্ন জমি নিচু থাকায় পাশের উঁচু জমির মালিক গুলো বোরো ধান চাষ করতে পারছে না। উঁচু জমি গুলো খনন করে তিন ফসলি করা খুবই জরুরি।

কৃষকদের স্বার্থে উচু জমি খনন করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল আওয়াল বলেন, পাশের জমি গুলো নিচু থাকায় অন্য জমি উচু থাকায় কৃষক বোরো ধান চাষ করতে পারছে না। জমি খনন করতে উর্ধতম কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি এনে করতে পারবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রশাসন মহুয়া শারমিন ফাতেমা মোটো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ
দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও পর্যটক নগরী কক্সবাজারকে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। বলতে গেলে বলা হয় পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানো হবে বলে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, পর্যটন বান্ধব সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারকে তুলে ধরা হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের তথ্যের অবাধ প্রবাহের বিষয়টি উল্লেখ করে আরো বলেন, দেশের সর্বত্র সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। আমরাও চাই দেশের অবকাঠামগত এবং পর্যটনে সংস্কার আসুক। এজন্য দরকার তথ্যের সহজ প্রাপ্তি। সাংবাদিকগণ যেন সহজেই জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন তার জন্য ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সেল গঠন করা হবে। যাতে করে সাংবাদিকরন সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেতে পারে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তথ্য প্রবাহের জন্য আমার অফিস সব সময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে। তথ্য প্রদান করতে গিয়ে আমার অফিস যেন মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হয় সেই বিষয়েও আপনাদের সচেতন থাকা জরুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভীষণ কান্তি দাশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাধারণ রুবাইয়া আফরোজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আতাউল গনি,প্রেসক্লাবের সভা মাহবুব আলম সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, ওসমানীসহ সিনিয়র সাংবাদিকগন।

রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ বিশ্ব মানবতার মুক্তির দুত, কল্যাণকামী মানুষের মহান শিক্ষক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর উপর আলোচনা, হামদ- নাত পরিবেশন ও দোয়া মাহফিল রূপসা উপজেলার কাজদিয়া সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের আয়জনে  ঈদে সিরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল ও ইসলামী জলসা  উদযাপিত হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ অজয় সরকার। ইসলামী জলসা উদযাপিত কমিটির আহবায়ক প্রভাষক  মুহাঃ কামরুজ্জানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, বিদ্যালয় এসএমসির সাবেক সহসভাপতি খান আঃ রশিদ, সাবেক অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য্য , প্রাক্তন শিক্ষক সুশিল কুমার পাল, গুরুপদ পাল, সামছুর রহমান শেখ, কাজদিয়া সোনালি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক অসিত রায চৌধুরী। প্রভাষক মেজবাহ উদ্দিন সেলিমের সঞ্চালনায়  বক্তৃতা করেন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, সেলিম রেজা, বাশির আহম্মেদ লালু, মিলন কুমার দেবনাথ, রতন ঘোশ, খান মারুফুল হক, মল্লিক নজরুল ইসলাম, তাজমা খাতুন, ফালগুনী মুখার্জি, শিক্ষক আসাদুজ্জামান সরদার, আব্দুল কাদের,  বিভাষ কুমার দাম, আসমা খাতুন, তুষার কান্তি দত্ত, কাকলী রাণী পাল, ললিতা রাণী হালদার, শীমা হালদার, আমিরুল ইসলাম, এস কে কুদরত আলী, সঞ্জয় কুমার পাল, কল্যাণ কুমার রায়, জয়দেব দাস, মীর আরিফ হোসেন, অনুপ কুমার পাল প্রমুখ।অনুষ্ঠানে  দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, প্রভাষক হাফেজ মাওলানা এমদাদুল হক।

কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মু, সোহরাব হোসেন সরকার, কালিগঞ্জ, গাজিপুর :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ
কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ হাবিব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস এম মনজুর এ-এলাহী, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদৎ হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি প্রজেক্টরের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, তামাক সেবীদের নিরুৎসাহিত করা, তামাকজনিত মৃত্যু ও মানুষের অসুস্থতা বৃদ্ধি, সামাজিক দায়বদ্ধতাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনাসহ আইন সংক্রান্ত বিধি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল কর্তৃক দেয়া তথ্যের বরাদ দিয়ে তিনি আরোও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে সব পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহনে ধুমপান না করা,বিক্রয় স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।