বাহুবলে অনাবাদি উঁচু জমি খনন করে তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি খনন করার দাবিতে কৃষক ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
কৃষকদের স্বার্থে উচু জমি খনন করা জরুরি বলে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে কৃষকরা
স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শাহাপুর ও কান্দিগাঁও গ্রামের মাঠে বোরো মৌসুমে সহস্রাধিক একর জমি প্রায় এক যুগ থেকে অনাবাদি পড়ে আছে। মাঠের মাঝখান দিয়ে কোন খাল খনন না থাকায় ও সেচ সুবিধা না পাওয়ায় আমন চাষের পর এসব জমি খালি পড়ে থাকে। উঁচু জমি খনন করলে অথবা একটি খাল খনন করলে এসব জমিতে মৌসুমে ৫শ’ মেট্রিক টন চাল বেশী উৎপাদন সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। উঁচু জমি খননে বাঁধা দেয়ায় বিপাকে পড়েছে কয়েক হাজার কৃষক। এতে পানির অভাবে কৃষকদের ৪ হাজার একর কৃষি জমিতে এবারের মৌমুমে ফসল আবাদে বিঘ্ন ঘটছে। যার ফলে উঁচু ফসলি জমি খনন করে তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি খনন করার দাবিতে মাঠে নেমেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।
তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি খনন করার দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত শত শত কৃষক প্রশাসনকে গণস্বাক্ষরসহ লিখিতভাবে অবহিত করেছে।
৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার শাহাপুর ও কান্দিগাঁও গ্রামের শত শত কৃষক রাস্তায় ও তাদের ফসলি জমিতে দাঁড়িয়েই মানববন্ধন করেন।
ভুক্তভোগী কৃষক ও স্থানীয়রা জানান, উঁচু জমি খননের উদ্যেগ নেয়া হলে তাতে অসাধু ব্যক্তি বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। তাই উঁচু জমি খননে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার কান্দিগাঁও ও শাহাপুর এবং জয়পুর গ্রামের কৃষকদের চাষাবাদের জন্য একমাত্র অবলম্বন মধ্য শাহাপুর নামে পরিচিত জমির মাঠটি। কিন্তু মাঠের মাঝখান দিয়ে খরস্রোত খাল বা নালা আমন চাষের পর এসব জমি খালি পড়ে থাকে । কোথাও কোথাও মাটি জমে জমি উঁচু হয়ে রয়েছে। বোরো মৌসুমে দেখা দেয় পানির তীব্র সংকট।
জমির মালিক ফারুক মিয়া বলেন, আজকে যারা ভালো মানুষ যাচ্ছে তারাই তিন থেকে চার বছর ধরে মাটির ব্যবসা করছে তারা যে কোন মাটি টেনেছে চার ফুট পাসপোর্ট করে গর্ত করেছে বিদায় আমার জমি গুলো অকেজো হয়ে গেছে আমার মতন আরও অনেকে আছে জমি গুলো অকুজো উপযুক্ত পানি না থাকার কারণে জমি গুলো ও কৃষি কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
অজয় দেব নামে এক কৃষক বলেন, আমাদের উঁচু জমি খনন করে তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি খনন করার দাবিতে কৃষক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি। কারো জমি নিচু আবার কারো জমি উচু। যাদের জমি উচু তারা বোরো ধান চাষ করতে পারছে না। তাই আমার উচু জমি খনন করতে চাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ মিলন মিয়া বলেন, এখানে যারা আছে সবাই জায়গার মালিক, সবাই স্থানীয়।তিনি তার বক্তব্যে সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানান যে,আমরা উঁচু জমি খনন করে তিন ফসলি চাষ উপযোগী জমি করা কৃষকদের স্বার্থে উচু জমি খনন করা জরুরি । আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
স্থানীয় ৭ বারের ওয়ার্ড মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক হাবিব উল্লা বলেন, আমি জনগণের জনপ্রতিনিধি, আমি চাই উঁচু জমি গুলো ও অনাবাদি জমি গুলো খনন করে তিন ফসলি জমি চাষ করার উপযোগী করা দরকার। বিভিন্ন জমি নিচু থাকায় পাশের উঁচু জমির মালিক গুলো বোরো ধান চাষ করতে পারছে না। উঁচু জমি গুলো খনন করে তিন ফসলি করা খুবই জরুরি।
কৃষকদের স্বার্থে উচু জমি খনন করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল আওয়াল বলেন, পাশের জমি গুলো নিচু থাকায় অন্য জমি উচু থাকায় কৃষক বোরো ধান চাষ করতে পারছে না। জমি খনন করতে উর্ধতম কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি এনে করতে পারবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রশাসন মহুয়া শারমিন ফাতেমা মোটো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।