মোঃ রেজাউউল করিম মৃধা, নাটোর জেলা থেকে:
মোঃ রেজাউল করিম মৃধা, নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে ধার দেওয়া পাওনা টাকা চাওয়ায় হুমকি ও দাদন ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে একটি মহল, এমন অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী ।
বড়াইগ্রামের বাগডোব গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে সাথী আক্তার নামের ওই নারী জানান , তিনি একই গ্রামের জহুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে তার মেয়ের বিয়ের জন্য ৫ লাখ টাকা ধার দেন। পরবর্তীতে তার জমি কেনাসহ নানা কারণে তিন দফায় জহুরুলকে মোট ১৫ লাখ টাকা ধার দেন সাথী। জহুরুল ইসলাম সাথীর সম্পর্কে প্রতিবেশি চাচা হওয়ায় টাকার জন্য বিভিন্ন সময় চাপ দিলে সে দিবো দিচ্ছি বলে শুধু টালবাহানা করতে থাকে ।এক পর্যায়ে সে সাথীকে টাকা না দিয়ে পুনরায় সময় নিয়ে বিশ্বাস স্হাপনের জন্য একটি চেক ও স্ট্যাম্পে লিখিত দেন। তারপরও নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেয়ায় সাথী ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে তার দেওয়া ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, তার ওই একাউন্টে সমপরিমান টাকা নেই। তখন সে উপায়ন্ত না পেয়ে চেকটি ডিজওনার হলে সাথী আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে জহুরুলকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এরপরই জহুরুল সাথীর টাকা ফেরত না দিতে কৌশল করে সামাজিক ভাবে হেনস্থা করতে দাদন ব্যবসায়ী সাজিয়ে স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মিদের বিষয়টি জানান। তার অভিযোগ ওই সাংবাদিকরা সাথীর সাথে কথা না বলে ও তার বক্তব্য ছাড়াই এক তরফা সংবাদ প্রকাশ করে তাকে সামাজিক ভাবে হেনস্থা ও মান সম্মানের হানি করেছেন। তিনি এর বিচার ও সুষ্ঠৃু তদন্ত করে তার টাকা ফেরত প্রদান ও ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করেন।
Posted ৯:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ এপ্রিল ২০২২