নাটোরের বড়াইগ্রামে চারটি শিয়াল ও একটি সাপ হত্যা করার অভিযোগে স্থাণীয় এক ইউপি সদস্যসহ ১১ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, রাজশাহীর ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মোহাম্মদ হেলিম রায়হান বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, বড়াইগ্রাম ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য উপজেলার ইকুড়ী গ্রামের আব্দুল তলফদারের ছেলে আব্দুল হামিদ, আশরাফ আলীর ছেলে জুবায়ের হোসেন, ইকুড়ীরাজাপুর গ্রামের খয়ের উদ্দিনের ছেলে কানু হোসেন, রায়হান আলীর ছেলে সবুজ হোসেন, রবিউল করিমের ছেলে রাতুল হোসেন ও আব্দুর রব সহ অজ্ঞাত আরো পাঁচ জন।
মোহাম্মদ হেলিম রায়হান তার অভিযোগে জানান, গত শুক্রবার দুপুরে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদসহ অভিযুক্তরা চারটি শিয়াল ও একটি দাঁড়াশ সাপ লাঠি পেটা করে হত্যা করেন । পরবর্তীতে হত্যাকারীরা মেরে ফেলা বন্যপ্রানী গুলো নিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন এবং সেই সময় ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নজরে আসলে তারা ৭ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ভাইরাল হওয়া বন্যপ্রানী পিটিয়ে মেরে ফেলার সত্যতা খুঁজে পান। বিষয়টি সম্পূর্ন অমানবিক হওয়ায় বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ধারা ৬(১) ও ৩৪(খ) মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শিয়াল ও সাপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।তাই উক্ত বন্যপ্রাণী হত্যা করায় অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ পরিবেশের আনুমানিক এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন । এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম মৃধা অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উল্লেখিত বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি , বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।**