খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে নামছে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৮:১৬ অপরাহ্ণ
মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে নামছে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আজ মাঠে নামছেন সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা। তারা নির্বাচনি মাঠে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন। ভোট গ্রহণের দুই দিন পর অর্থাৎ আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন তারা মাঠে থাকবেন। তবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ৩ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। এদিকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ৯০৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে ইসি। ঐ ম্যাজিস্ট্রেটরা ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনি দায়িত্বে থাকবেন। ইসি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ১৬২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। এর মধ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন দেখভালে রয়েছেন ৭৫৪ জন। আজ থেকে বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল ও স্ট্রইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নামছেন। তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশে কাজ করবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও খুলনার ৪৩টি উপকূলীয় ইউনিয়নে কোস্টগার্ড মোতায়েন হচ্ছে।

আগের নির্বাচনের মতো এবারও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নামানো হচ্ছে। তারা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও থানার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য অভিযান পরিচালনা করবেন সেনা সদস্যরা। রিটার্নিং বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী সেনাসদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ভেতর বা ভোটগণনা কক্ষে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

আগের সব নির্বাচনের চেয়ে এবার দেশীয় পর্যবেক্ষক কম: এদিকে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ২০ হাজার ৭৭৩ জন দেশীয় পর্যবেক্ষক অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসির নিবন্ধিত ৮৪টি পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ পর্যবেক্ষকেরা আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। গতকাল নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম পর্যবেক্ষকদের এ সংখ্যা জানান। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ৯৬টি নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে।

ইসি সূত্রে জানিয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, এবারই সবচেয়ে কমসংখ্যক দেশীয় পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে যাচ্ছেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র, ভোটকক্ষ ও ভোটার বেড়েছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকসংখ্যা কমেছে। বড় কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় পর্যবেক্ষকসংখ্যা কমতে পারে বলে মনে করছে ঐ সূত্র।

ইসি জানিয়েছে, এবার নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষণসংস্থার ৫১৭ জন ও স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণসংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবে। সব মিলিয়ে পর্যবেক্ষকসংখ্যা ২০ হাজার ৭৭৩ জন। আসনভিত্তিক পর্যবেক্ষকের তালিকা সব রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র আনুমানিক ৪২ হাজার ২৫০টি আর ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ। এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ৩৪ হাজার ৬৭১ জন দেশীয় পর্যবেক্ষক আবেদন করেন। ঐ নির্বাচনে ৮১টি পর্যবেক্ষকসংস্থার ২৫ হাজার ৯২০ জনকে অনুমতি দেয় তত্কালীন নির্বাচন কমিশন। ২০১৪ সালে ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। বাকি ১৫৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হন। ঐ ১৪৭টি আসনে ৮ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ছিলেন। আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার এবং ২০০১ সালে প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার পর্যবেক্ষক ছিলেন।

দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ
দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও পর্যটক নগরী কক্সবাজারকে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। বলতে গেলে বলা হয় পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানো হবে বলে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, পর্যটন বান্ধব সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারকে তুলে ধরা হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের তথ্যের অবাধ প্রবাহের বিষয়টি উল্লেখ করে আরো বলেন, দেশের সর্বত্র সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। আমরাও চাই দেশের অবকাঠামগত এবং পর্যটনে সংস্কার আসুক। এজন্য দরকার তথ্যের সহজ প্রাপ্তি। সাংবাদিকগণ যেন সহজেই জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন তার জন্য ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সেল গঠন করা হবে। যাতে করে সাংবাদিকরন সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেতে পারে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তথ্য প্রবাহের জন্য আমার অফিস সব সময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে। তথ্য প্রদান করতে গিয়ে আমার অফিস যেন মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হয় সেই বিষয়েও আপনাদের সচেতন থাকা জরুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভীষণ কান্তি দাশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাধারণ রুবাইয়া আফরোজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আতাউল গনি,প্রেসক্লাবের সভা মাহবুব আলম সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, ওসমানীসহ সিনিয়র সাংবাদিকগন।

রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ বিশ্ব মানবতার মুক্তির দুত, কল্যাণকামী মানুষের মহান শিক্ষক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর উপর আলোচনা, হামদ- নাত পরিবেশন ও দোয়া মাহফিল রূপসা উপজেলার কাজদিয়া সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের আয়জনে  ঈদে সিরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল ও ইসলামী জলসা  উদযাপিত হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ অজয় সরকার। ইসলামী জলসা উদযাপিত কমিটির আহবায়ক প্রভাষক  মুহাঃ কামরুজ্জানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, বিদ্যালয় এসএমসির সাবেক সহসভাপতি খান আঃ রশিদ, সাবেক অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য্য , প্রাক্তন শিক্ষক সুশিল কুমার পাল, গুরুপদ পাল, সামছুর রহমান শেখ, কাজদিয়া সোনালি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক অসিত রায চৌধুরী। প্রভাষক মেজবাহ উদ্দিন সেলিমের সঞ্চালনায়  বক্তৃতা করেন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, সেলিম রেজা, বাশির আহম্মেদ লালু, মিলন কুমার দেবনাথ, রতন ঘোশ, খান মারুফুল হক, মল্লিক নজরুল ইসলাম, তাজমা খাতুন, ফালগুনী মুখার্জি, শিক্ষক আসাদুজ্জামান সরদার, আব্দুল কাদের,  বিভাষ কুমার দাম, আসমা খাতুন, তুষার কান্তি দত্ত, কাকলী রাণী পাল, ললিতা রাণী হালদার, শীমা হালদার, আমিরুল ইসলাম, এস কে কুদরত আলী, সঞ্জয় কুমার পাল, কল্যাণ কুমার রায়, জয়দেব দাস, মীর আরিফ হোসেন, অনুপ কুমার পাল প্রমুখ।অনুষ্ঠানে  দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, প্রভাষক হাফেজ মাওলানা এমদাদুল হক।

কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মু, সোহরাব হোসেন সরকার, কালিগঞ্জ, গাজিপুর :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ
কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ হাবিব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস এম মনজুর এ-এলাহী, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদৎ হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি প্রজেক্টরের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, তামাক সেবীদের নিরুৎসাহিত করা, তামাকজনিত মৃত্যু ও মানুষের অসুস্থতা বৃদ্ধি, সামাজিক দায়বদ্ধতাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনাসহ আইন সংক্রান্ত বিধি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল কর্তৃক দেয়া তথ্যের বরাদ দিয়ে তিনি আরোও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে সব পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহনে ধুমপান না করা,বিক্রয় স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।