নরসিংদীতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়াল
নরসিংদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এই জেলায় কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়াল। সর্বশেষ এক হাজার ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গত ১১ দিনে। জেলায় বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ১ হাজার ২৮৬। রোববার দুপুরে নরসিংদীর সিভিল সার্জন নূরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত বছরের ৭ এপ্রিল নরসিংদীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ৪৭৩ দিনের মাথায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়াল। করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ছাড়াতে সময় লেগেছিল ৬৬ দিন। পরবর্তী ১ হাজার জন সংক্রমিত হতে লাগে ৭৬ দিন। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার পূর্ণ হতে সময় লাগে আরও ২০৭ দিন। আর ৪ হাজার ব্যক্তি আক্রান্ত হতে সময় লাগে ৩৯ দিন। পরবর্তী ১ হাজার ব্যক্তি সংক্রমিত হতে লাগে ৭৪ দিন। সর্বশেষ ১০৯৫ জন সংক্রমিত হতে সময় লাগলে মাত্র ১১ দিন।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৬ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন দিয়ে নমুনা পরীক্ষায় ১২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৩৩ জন রয়েছে। এ ছাড়া পলাশে ৭ জন, রায়পুরায় ১১, বেলাবতে ১৬, মনোহরদীতে ৩ ও শিবপুরে ৫০ জন শনাক্ত হয়েছে। নমুনার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ২২ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট ৬৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নরসিংদী সদরে ৩৪, পলাশে ৬, বেলাবতে ৭, রায়পুরায় ৮, মনোহরদীতে ৫ ও শিবপুরে ৯ জন রয়েছে।
জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৮৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ হাজার ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৫৭৯ জন। এ ছাড়া শিবপুরে ৫৮৯, পলাশে ১০০৬, রায়পুরায় ৩১৭, বেলাবতে ৩০৯ ও মনোহরদীতে ২৯৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন মো. নুরুল ইসলাম জানান, মাত্র ১১ দিনের মাথায় নরসিংদীতে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার থেকে ৬ হাজারে পৌঁছেছে। এই মুহূর্তে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ হাজার ২৮৬। এর মধ্যে করোনা ডেডিকেটেড ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ৭১ জন চিকিৎসাধীন। নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন মো. নুরুল ইসলাম আরও জানান, সবাইকে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হতে হবে। পরিবারের কারও শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নমুনা দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন