খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক, ১৪৩১

খুলনায় বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষকদের মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:১০ অপরাহ্ণ
খুলনায় বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষকদের মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনায় ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা, এ ছাড়াও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টাকে ৪ দফা প্রস্তাবনা দিয়ে শিক্ষকরা খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উক্ত বিষয়ে শিক্ষকরা জানান, পতিত সরকার পরিকল্পিতভাবে মাধ্যমিক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছে। জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী দেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছে তাতে আমরাও নতুন করে স্বপ্ন দেখছি। আপনার (শিক্ষা উপদেষ্টা) গতিশীল নেতৃত্বে মাধ্যমিক শিক্ষা আবার জেগে উঠবে। আপনার এ স্বপ্নযাত্রায় আমরাও আপনার সহযাত্রী হতে প্রস্তুত।

শিক্ষকদের ৪ দফা প্রস্তাবনা

১। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানের ৯৭% বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও মাদরাসা)। এই প্রতিষ্ঠানগুলি জাতীয়করণ করা অত্যন্ত জরুরী। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই বই পড়ানো, একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা অথচ সরকারি ও বেসরকারি নাম দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক
মর্যাদার মধ্যে বিরাট বৈষম্য তৈরী করে রাখা হয়েছে যা শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। শিক্ষার সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রাণের দাবি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ।

২। শিক্ষা বিভাগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একাডেমিক ও প্রশাসনিক । শিক্ষকেরা একাডেমিক কাজে দক্ষ। তাদের সকল প্রশিক্ষণ পেডাগোজি কেন্দ্রিক। ক্লাস রুমের পঠন-পাঠনে তারা দক্ষ। অন্যদিকে শিক্ষা প্রশাসনে দীর্ঘ ৩১ বছরে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের সকল প্রশিক্ষণ প্রশাসনিক। শিক্ষকতা ও প্রশাসন ভিন্ন চরিত্রের, ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের, কাজের ধরন ভিন্ন, চর্চা বা অনুশীলন ভিন্ন। শিক্ষকরা প্রশাসনে অনভিজ্ঞ, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপপরিচালক পদে তাঁদের পদায়ন করা হলে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক শূন্যতা যেমন সৃষ্টি হয় তেমনি ক্লাস রুম শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ একজন শিক্ষককে উল্লেখিত পদসমূহে পদায়ন করা হলে বিভিন্ন বিধি বিধান সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান না থাকার কারণে অফিসের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নিম্নপদের লোকজনের পরামর্শ দ্বারাই পরিচালিত হতে হয়। প্রশাসনিক দৃঢ় সিদ্ধান্ত তাঁরা গ্রহণ করতে পারেনা। এছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকগণকে পদায়ন করা হলে প্রশাসনিক অনভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষকের অধীনে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানগণকে কাজ করতে হবে। এতে শিক্ষাঙ্গনে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। সে কারণে উপজেলা, জেলা, অঞ্চল ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখায় ৩১ বছর শিক্ষা প্রশাসনে কাজের দক্ষতা সম্পন্ন ৬ষ্ঠ গ্রেড অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদোন্নতি ও পদায়নের জোর দাবী করছি।

৩। শিক্ষার মাঠ প্রশাসনে কাজ করা ১০-২২ বছরের দক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত SESIP কর্মসূচির ১১৮৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

৪। নানা মাত্রিক সমস্যায় মাধ্যমিক শিক্ষা জর্জরিত। স্কুল, মাদরাসা, সরকারি, বেসরকারি এ রকম নানা রকম প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এদের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবার, খুলনা মহানগরেরর পক্ষে স্বাক্ষর করেন শেখ মো. রফিকুল ইসলাম, মো. বাদশা খান, শেখ জাহিদুজ্জামান ও মো. দাউদ অর রশিদ শাওন।

সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগজ্ঞ থেকে :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকারের একেবারেই গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবীতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের আয়োজনে শহরের কাজির পয়েন্টস্থ এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার ১২টি উপজেলার ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করে বলেন আমরা স্থানীয় সরকারের একেবারেই গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তৃণমূলের উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সব সময় সাম্যের ভিত্তিতে স্ব স্ব পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র গঠন ও সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। গত জুলাই ও আগষ্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মাঠে ছিলেন দাবী করে বলেন এই আন্দোলনে ফ্যাসিস স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়। যারা ফ্যাসিস সরকারের দোসর ছিলেন তারা পালিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা পালিয়ে যাননি। বরং তারা এই সরকারের সমস্ত দিক নির্দেশনা মেনেই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরো উল্লেখ করেন ছাত্রজনতার আন্দোলনে দ্বিতীয় দফা স্বাধীন বাংলাদেশের জনগনের প্রাপ্য সকল সরকারী সেবা তৃণমূলে পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান এই অন্তবর্তীকালীন সরকার সকল ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার যে চিন্তাভাবনা করছেন এতে ভেঙ্গে পড়তে পারে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম এবং সরকারের জনকল্যাণ মূলক উদ্যোগ। ফলে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার ফলে জাতীয় সনদ,জন্ম-নিবদ্ধন,মৃত্যু নিবদ্ধন,ওয়ারিশান সার্টিফিকেট,প্রত্যয়নপত্র,নাগরিকত্ব সনদপত্র,ট্রেড লাইন্সেস,বিভিন্ন ভাতাদি ও সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কার্ড পেতে ভোগান্তি বাড়তে পারে এবং সামাজিক ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্থ হতে পারে।

অবিলম্বে এই ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে তৃণমূলের জনগনের মাঝে এই ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে কিভাবে সেবার মান আরো বাড়ানো যায় সেইদিকে খেয়াল দিতে সরকারের নিকট দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন চেয়ারম্যানবৃন্দরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,লক্ষণশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ,রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই,সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা,পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জগলুল হায়দার,মোল্লাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন,পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীদার খোকন,আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান,রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল ,জাহাঙ্গীর নগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমেদ,করিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস,গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী,জগদল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ন রশিদ,বাদাঘাট দক্ষিন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছবাব মিয়া,ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান তালুকদারসহ অনেকেই।

ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা

জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দে কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা

গাজীপুর থেকে :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ণ
জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দে কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : জেলিযুক্ত চিংড়ি বিক্রি করায় কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে কালীগঞ্জ বাজারে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযানের অংশ হিসেবে উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ এর ৩৩ ধারায় একটি মামলায় পৌরসভার চান্দাইয়া গ্রামের হরেন্দ্র দাসের পূত্র হরে রাম (৪০) কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। তাছাড়া ১০ হাজার টাকা মূল্যের জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করে জনসম্মুখে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বিনষ্ট করা হয়। জরিমানা প্রদান করেন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি।
বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি প্রতিবেদককে বলেন, অভিযানে ১৬ কেজি জেলি যুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়। ওজন বৃদ্ধিতে চিংড়ি মাছের ভিতর জেলি ব্যবহার করা হয়। এধরনের মাছ খাওয়ার ফলে ক্যানসার হওয়ার ঝুকি রয়েছে।
এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু সামা, বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুল ইসলাম ও আনসার সদস্যবৃন্দ।

কালীগঞ্জ,গাজীপুর
১৭/১০/২৪ইং

মাদকসেবী সহ গ্রেফতার ৭

সহকারী পুলিশ সুপার, মধুপুরের নেতৃত্বে ৩ জন মাদকসেবী সহ গ্রেফতার ৭

মধুপুর থেকে :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
সহকারী পুলিশ সুপার, মধুপুরের নেতৃত্বে ৩ জন মাদকসেবী সহ গ্রেফতার ৭

আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৩ জন মাদকসেবী সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।
সহকারী পুলিশ সুপার,মধুপুর সার্কেল ফারহানা আফরোজ জেমির নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ জন মাদকসেবীসহ সহ ৭ জন আসামীকে আটক করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। এদের মধ্যে এজাহার নামীয় আসামী মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার খন্দকার হোসেন আলীর ছেলে খন্দকার নাজমুল হোসেন (৩৪)
ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি জলছত্র এলাকার মৃত তাজু শেখের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান ওরফে সাজু,
চাকন্ড গ্রামের মজিবুর রহমান এর ছেলে দেলোয়ার হোসেন, পৌর শহরের বয়েল মোড় এলাকার মাসুদ পারভেজ এর স্ত্রী রিনা পারভেজ, মাদকসেবী গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দীন এর ছেলে শাহীন, একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহীন, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে লিটন।
মধুপুর থানার দায়িত্ব ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাসেল আহমেদ পিপিএম জানান, সহকারী পুলিশ সুপার মধুপুর সার্কেল ফারহানা আফরোজ জেমি স্যারের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত ৩ জন মাদক সেবন করে মাতলামী করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, একই দিনে পৃথক মামলায় ওয়ারেন্টের তিন আসামী এবং নিয়মিত মামলার ১ আসামীকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে।