খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার রূপসা উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন অপসারণের দাবীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত

শহিদুল্লাহ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
খুলনার রূপসা উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন অপসারণের দাবীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত

শহিদুল্লাহ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা জেলার রূপসা উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইমাম-মুয়াজ্জিনের অপসারনের দাবীতে মানব বন্ধন গতকাল ২ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।রূপসা উপজেলা  ইমাম পরিষদ ও সাধারণ মুসাল্লিবৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত  মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন মডেল মসজিদের ইমাম মোঃ ফুয়াদ ফকির ও মুয়াজ্জিন ফাহাদ উদ্দিন আপন দুই ভাই হওয়ায় সকল কার্যক্রম ইচ্ছা খুশিমতো চালিয়ে যাচ্ছেন। মোয়াজ্জিন ফাহাদ উদ্দিন নিয়োগ প্রাপ্তিরপর নির্দিষ্ট তারিখে যোগদানের কথা থাকলেও আপন ভাই ইমাম হওয়ায় ৩/৪ মাস কর্মস্থলে যোগদান না করে অনুপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া তাদের খামখেয়ালিপনার কারণে অধিকাংশ সময় মসজিদে আজান ও নামাজ সঠিক সময় না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি কোন কোন সময় সাপ্তাহিক জুম্মার নামাজ শুরু করতেও দুইটা বেজে যায়। যার কারণে মুসল্লিদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। অভিযোগ রয়েছে জুম্মার নামাজে ইমাম সাহেব যে আলোচনা করেন তা মুসল্লিদের বোধগম্য হয় না। অনেক সময় ওয়াক্তিয়া ফরজ নামাজে ভুল ও অশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত করে থাকেন কিন্তু মুসল্লিরা লুকমা দিলে ইমাম-মোয়াজ্জিন দুই ভাই মিলে মুসল্লিদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাছাড়া সরকারিভাবে কোন সিদ্ধান্ত আসলে গুরুত্ব সহকারে মুসল্লিদের সামনে সে বিষয়ে উপস্থাপন করা হয় না। অভিযোগে আরো জানা যায়, মাহে রমজান উপলক্ষে মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে খতমে তারাবির সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ইমাম সাহেব তারাবি নিজেই পড়াবেন বলে ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে তারাবি শুরু হলে অশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত এবং দুই রাকাত পর পর মোবাইল ফোন দেখে নামাজ পড়ানো শুরু করেন। এছাড়া খতম তারাবিতে ধারাবাহিকতা ঠিক না রেখে ইচ্ছামতো এলোমেলো কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকেন। যা মুসল্লিরা লোকমা দিলে নামাজ শেষে তাদের পরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিগত ৯ রমজান ইমাম সাহেব তারাবি শুরুর আগে হঠাৎ করে ঘোষণা দেন আমার দ্বারা খতম তারাবি পড়ানো সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে মুসল্লিরা প্রতিবাদ করলে ইমাম ও মুয়াজ্জিন দুই ভাই মিলে মুসল্লিদের বলেন কোন্ আইনে বলা আছে যে খতম তারাবিই পড়তে হবে? এসব কথা শুনে মুসল্লিরা মনঃক্ষুণ্ণ হন। পরবর্তীতে অন্য হাফেজ রেখে খতম তারাবি চলো মান রাখা হয়। অপরদিকে মুয়াজ্জিন ফাহাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা চলমান রয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কারনে সাধারণ (পুরুষ-মহিলা) মুসল্লিদের কষ্টের ভিতর নামাজ আদায় করতে হচ্ছে।

মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রূপসা উপজেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলনা হাবিবুল্লাহ মেজবাহ, বায়তুল হামদ্ জামে মসজিদের খতিব মাওঃ আমিরুল ইসলাম, ইসলামি চিন্তাবিদ,  ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা ইব্রাহীম খলিল ফারুকী, মাওলানা জামশেদ হুসাইন, মাওলানা নাজমুল হুদা, হাফেজ হারুনার রশিদ, শমশের গাজী, হাফেজ নিজামুদ্দিন, মাওলানা আবুল হাসান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আমিনুল ইসলাম, নাহিদুল ইসলাম, মুস্তাহীদুল হক, হাবিবুল্লাহ শেখ, ইকরামুল হক, এসএম আবুল হাসানাত, ইমাম হোসেন প্রমুখ। তাছাড়া মানববন্ধন শেষে সাধারণ মুসাল্লি এবং ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ ইমাম, মুয়াজ্জিনকে অপসারণের দাবীতে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি কোহিনুর জাহান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আগেও অভিযোগ হয়েছে স্থানীয় ভাবে বারবার সমাধান করার চেষ্টা করেছি তবে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইসলামীক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন হওয়ায় আমি সরাসরি কোন পদক্ষেপ নিতে পারছিনা। আমি ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব ইনশাআল্লাহ্ সমাধান হবে বলে আশাকরছি।

দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ
দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও পর্যটক নগরী কক্সবাজারকে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। বলতে গেলে বলা হয় পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানো হবে বলে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, পর্যটন বান্ধব সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারকে তুলে ধরা হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের তথ্যের অবাধ প্রবাহের বিষয়টি উল্লেখ করে আরো বলেন, দেশের সর্বত্র সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। আমরাও চাই দেশের অবকাঠামগত এবং পর্যটনে সংস্কার আসুক। এজন্য দরকার তথ্যের সহজ প্রাপ্তি। সাংবাদিকগণ যেন সহজেই জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন তার জন্য ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সেল গঠন করা হবে। যাতে করে সাংবাদিকরন সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেতে পারে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তথ্য প্রবাহের জন্য আমার অফিস সব সময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে। তথ্য প্রদান করতে গিয়ে আমার অফিস যেন মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হয় সেই বিষয়েও আপনাদের সচেতন থাকা জরুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভীষণ কান্তি দাশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাধারণ রুবাইয়া আফরোজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আতাউল গনি,প্রেসক্লাবের সভা মাহবুব আলম সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, ওসমানীসহ সিনিয়র সাংবাদিকগন।

রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ বিশ্ব মানবতার মুক্তির দুত, কল্যাণকামী মানুষের মহান শিক্ষক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর উপর আলোচনা, হামদ- নাত পরিবেশন ও দোয়া মাহফিল রূপসা উপজেলার কাজদিয়া সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের আয়জনে  ঈদে সিরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল ও ইসলামী জলসা  উদযাপিত হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ অজয় সরকার। ইসলামী জলসা উদযাপিত কমিটির আহবায়ক প্রভাষক  মুহাঃ কামরুজ্জানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, বিদ্যালয় এসএমসির সাবেক সহসভাপতি খান আঃ রশিদ, সাবেক অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য্য , প্রাক্তন শিক্ষক সুশিল কুমার পাল, গুরুপদ পাল, সামছুর রহমান শেখ, কাজদিয়া সোনালি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক অসিত রায চৌধুরী। প্রভাষক মেজবাহ উদ্দিন সেলিমের সঞ্চালনায়  বক্তৃতা করেন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, সেলিম রেজা, বাশির আহম্মেদ লালু, মিলন কুমার দেবনাথ, রতন ঘোশ, খান মারুফুল হক, মল্লিক নজরুল ইসলাম, তাজমা খাতুন, ফালগুনী মুখার্জি, শিক্ষক আসাদুজ্জামান সরদার, আব্দুল কাদের,  বিভাষ কুমার দাম, আসমা খাতুন, তুষার কান্তি দত্ত, কাকলী রাণী পাল, ললিতা রাণী হালদার, শীমা হালদার, আমিরুল ইসলাম, এস কে কুদরত আলী, সঞ্জয় কুমার পাল, কল্যাণ কুমার রায়, জয়দেব দাস, মীর আরিফ হোসেন, অনুপ কুমার পাল প্রমুখ।অনুষ্ঠানে  দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, প্রভাষক হাফেজ মাওলানা এমদাদুল হক।

কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মু, সোহরাব হোসেন সরকার, কালিগঞ্জ, গাজিপুর :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ
কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ হাবিব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস এম মনজুর এ-এলাহী, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদৎ হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি প্রজেক্টরের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, তামাক সেবীদের নিরুৎসাহিত করা, তামাকজনিত মৃত্যু ও মানুষের অসুস্থতা বৃদ্ধি, সামাজিক দায়বদ্ধতাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনাসহ আইন সংক্রান্ত বিধি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল কর্তৃক দেয়া তথ্যের বরাদ দিয়ে তিনি আরোও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে সব পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহনে ধুমপান না করা,বিক্রয় স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।