মঙ্গলবার | ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৈনিক পাবলিক বাংলা বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র
বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র

কালীগঞ্জে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

মু, সোহরাব হোসেন সরকার, কালিগঞ্জ, গাজিপুর :

কালীগঞ্জে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকায় তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি থাকলেও তাদের দেখার কেউ নেই। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।
স্থাণীয়রা জানায়, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড দড়িসোম ও মুনসুরপুর গ্রামে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই মুহুর্তে পানি জমে ঢুকে যাচ্ছে ঘরের ভিতর। বাধ্য হয়ে ঘরের ভিতরেই করতে হচ্ছে রান্না থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া, বাথরুম ও সকল কাজ। সমস্যায় পড়ছে শিশু, নারী ও বয়স্করা। অন্যদিকে পানিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও আসবাবপত্র। পানি নিস্কাশন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে, মুসল্লিরা মসজিদে ও পবিারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে বাইরে যেতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। এমন ভোগান্তিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণ। এ ছাড়াও বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, পৌরসভার সবচেয়ে অবহেলিত এলাকা হচ্ছে ৪নং ওয়ার্ডের দড়িসোম ও মুনশুরপুর। যে ওয়ার্ডে রয়েছে কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, বেশ কয়েকটি ব্যাংক, কেন্দ্রীয় বাজার, মাদ্রাসা, মসজিদ ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর সভার মেয়র এস এম রবীন হোসেন এবং পৌর যুবলীগের সভাপতি কাউন্সিলর মো. বাদল হোসেন ভূইয়া এর বাড়ী। নিজ এলাকা হওয়া সত্তে¡ও তেমন কোন উন্নয়ন নেই বললেই চলে। যেখানে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। নজর নেই কর্তৃপক্ষের। আমরা অনেক বার পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে গিয়েছি। তারা শুধু আমাদের আশ্বাসই দিয়ে গেছেন। কিন্তু কোন উন্নয়ন করেনি। সম্প্রতি গাজীপুর জেলা পরিষদের অর্থায়নে ড্রেনেজ কাজের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হলেও ঠিকাদারের উদাসীনতায় কর্মচারীদের অদক্ষতায় ড্রেনের পাইপ সাবক মাটি হতে তিন ফুট নীচে দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র দুই ফুট নীচে পাইপ বসানোর কারণে আটকে থাকা পানি বের হতে পারছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মাইনুল হাসান বলেন, কালীগঞ্জ পৌর সভায় পানি নিস্কাশনের জন্য কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। জেলা পরিষদের অর্থায়নে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে তা শুধু অর্থই অপচয় করা হয়েছে কোন উপকারে আসে নাই। সেখানে যে টাকাটা অপচয় হয়েছে সেটা তো আমাদের জনগণের টাকা। তা সঠিক ব্যবহার না করে কেন অপচয় হয়েছে? আর আমরা পানিবন্দী জীবন যাপন করছি। এর দায় কে নেবে।
পৌর যুবলীগের সভাপতি কাউন্সিলর মো. বাদল হোসেন ভূইয়া বলেন, দড়িসোম ও মুনসুরপুর এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই পানি নিস্কাশন করা হবে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র এস এম রবীন হোসেন বলেন, সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। এ কাজের জন্য জেলা পরিষদ থেকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পন্ন করে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করা হবে।

আপনার মতামত দিন

Posted ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
ড. সৈয়দ রনো   উপদেষ্টা সম্পাদক   
শাহ্ বোরহান মেহেদী, সম্পাদক ও প্রকাশক
গোলাম রব্বানী   নির্বাহী সম্পাদক   
,
ঢাক অফিস :

২২, ইন্দারা রোড (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

নরসিংদী অফিস : পাইকসা মেহেদী ভিলা, ঘোড়াশাল, নরসিংদী। ফোনঃ +8801865610720

ই-মেইল: news@doinikpublicbangla.com