খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবহেলিত জনপদে স্বপ্নের হাতছানি,আলোর পথে যাত্রার অপেক্ষা

সিরাজুল ইসলাম লালমনিরহাট।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৩:৩৮ অপরাহ্ণ
অবহেলিত জনপদে স্বপ্নের হাতছানি,আলোর পথে যাত্রার অপেক্ষা
Spread the love

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের তিস্তা নদীর দুর্গম চরে নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্যুতায়নের কাজ করছেন চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত। বিচ্ছিন্ন এ চরাঞ্চলে পিলার,গাছের খুটি ও ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কাজ চলছে। বিদ্যুতায়নের ফলে তিস্তা চর অধ্যুষিত পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ আধুনিক নাগরিক সুবিধার আওতায় আসবে। ইতোমধ্যে আলোর ইশারা পেয়ে খুশি চরের মানুষ। বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পন্ন হলে নদীবেষ্টিত এ চরাঞ্চলবাসীর জীবনধারা পরিবর্তনের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন চরবাসীসহ ইউনিয়নবাসী। সর্বনাশা তিস্তা নদীর ভাঙ্গাগড়ার খেলায় মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই ইউনিয়নের উত্তর হলদিবাড়ি ও পশ্চিম হলদিবাড়ি  এতদিন বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল।
বৈদ্যুতিক লাইন প্রত্যন্ত চর এলাকায় যাওয়ায় সেখানকার মানুষজন জানায়, এখানে বসবাস করা মানুষগুলোর কাছে বিদ্যুৎ ছিল স্বপ্নের মতো। আমরা কখনও ভাবিনি এ দুর্গম জনপদে বিদ্যুৎ আসবে। আমাদের স্বপ্ন এবার হাতের মুঠোয় ধরা দিচ্ছে বিদ্যুতের আলো। দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের দৃশ্যমান কর্মকাণ্ডে আনন্দ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। তারা মনে করছেন এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অন্ধকারের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে আলোর পথে নতুন যাত্রা শুরু করবেন তারা। একইসঙ্গে জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে তাদের। অবহেলিত এ জনপদে যোগ হবে নতুন দিগন্তের সূচনা। এখনও তিস্তার চরের মানুষের সৌর বিদ্যুৎ, হারিকেন ও প্রদীপের আলো একমাত্র ভরসা। ডিজেল চালিত মেশিনে উৎপাদিত হচ্ছে কৃষিপণ্য।স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম বলছেন, তিস্তা নদীর এ চর উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন এলাকা। নৌযান ছাড়া চরে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই। আমরা চরবাসী কখনও বিদ্যুতের আলো পাব, তা কল্পনাও করিনি। এখন চরে বিদ্যুতের লাইন দৃশ্যমান। তার টানাসহ সব কাজ শেষ পর্যায়ে। এজন্য নতুন স্বপ্ন বুনছেন দুর্গম চরের বাসিন্দারা।
স্থানীয় একজন কৃষক আলিফ বলেন, এখানে বিদ্যুৎ আসবে, তা আমাদের জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ফলে আমরা এলাকার কৃষকরা অনেক উপকৃত হবো। বিশেষ করে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের সাহায্যে জমির সেচ কাজ করতে গিয়ে আমাদের অনেক টাকা খরচ হতো। এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়ায় আমাদের জমি চাষাবাদ করতে টাকা খরচ কম হবে। রাস্তা সংস্কারের ফলে এ এলাকায় কৃষি কাজের উপকরণ ভুট্টা, আলুসহ সকল পন্য কম খরচে ভুখন্ডের মুল বাজারে নিয়ে যেতে পারবো। ফলে ব্যাপক মুনাফা অর্জনে সক্ষম হবে চরবাসী।
পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত বলেন , আগামী বছরের শুরুতে আমার ইউনিয়নের দুর্গম চরে জ্বলবে বিদ্যুতের আলো। সে লক্ষ্যেই দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে চরাঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে এখানে আগে যে পরিমাণ ফসল উৎপাদন হতো, বিদ্যুতের কারণে এখন বেশি পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হবে। ডিজেল নির্ভর এই অঞ্চলের কৃষকরা এখন বিদ্যুতের সাহায্যে জমিতে সেচ দিয়ে একাধিক ফসল ফলাতে পারবেন।
নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী দেব কুমার সরকার বলেন, সরকার  চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিলেও বিদ্যুৎ না থাকায় সেখানকার মানুষ অনগ্রসর রয়েছে। একই সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ আয়ের বহুমুখী ধারার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারছে না। চর এলাকায় চারদিক থেকে পানিবেষ্টিত হওয়ায় এখানে সরাসরি গ্রিড পৌঁছানো কঠিন তাই সরকারি প্রজেক্টের মাধ্যমে পাটিকাপাড়া এলাকার চর অঞ্চলে মুজিবুল আলম সাদাত চেয়ারম্যান এর উদ্যোগ ও সহযোগিতায়  কাচা পাকা খুটি দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রচেষ্টায় নেসকোর প্রজেক্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহে নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলবাসীর জীবনধারা পরিবর্তন হবে বলে মনে করি। এর মাধ্যমে শহরের সকল সুবিধাগুলো সমানভাবে চরাঞ্চলবাসিরাও ভোগ করতে পারবেন।

দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ
দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন
Spread the love

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও পর্যটক নগরী কক্সবাজারকে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। বলতে গেলে বলা হয় পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানো হবে বলে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, পর্যটন বান্ধব সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারকে তুলে ধরা হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের তথ্যের অবাধ প্রবাহের বিষয়টি উল্লেখ করে আরো বলেন, দেশের সর্বত্র সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। আমরাও চাই দেশের অবকাঠামগত এবং পর্যটনে সংস্কার আসুক। এজন্য দরকার তথ্যের সহজ প্রাপ্তি। সাংবাদিকগণ যেন সহজেই জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন তার জন্য ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সেল গঠন করা হবে। যাতে করে সাংবাদিকরন সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেতে পারে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তথ্য প্রবাহের জন্য আমার অফিস সব সময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে। তথ্য প্রদান করতে গিয়ে আমার অফিস যেন মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হয় সেই বিষয়েও আপনাদের সচেতন থাকা জরুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভীষণ কান্তি দাশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাধারণ রুবাইয়া আফরোজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আতাউল গনি,প্রেসক্লাবের সভা মাহবুব আলম সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, ওসমানীসহ সিনিয়র সাংবাদিকগন।

রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত
Spread the love

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ বিশ্ব মানবতার মুক্তির দুত, কল্যাণকামী মানুষের মহান শিক্ষক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর উপর আলোচনা, হামদ- নাত পরিবেশন ও দোয়া মাহফিল রূপসা উপজেলার কাজদিয়া সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের আয়জনে  ঈদে সিরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল ও ইসলামী জলসা  উদযাপিত হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ অজয় সরকার। ইসলামী জলসা উদযাপিত কমিটির আহবায়ক প্রভাষক  মুহাঃ কামরুজ্জানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, বিদ্যালয় এসএমসির সাবেক সহসভাপতি খান আঃ রশিদ, সাবেক অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য্য , প্রাক্তন শিক্ষক সুশিল কুমার পাল, গুরুপদ পাল, সামছুর রহমান শেখ, কাজদিয়া সোনালি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক অসিত রায চৌধুরী। প্রভাষক মেজবাহ উদ্দিন সেলিমের সঞ্চালনায়  বক্তৃতা করেন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, সেলিম রেজা, বাশির আহম্মেদ লালু, মিলন কুমার দেবনাথ, রতন ঘোশ, খান মারুফুল হক, মল্লিক নজরুল ইসলাম, তাজমা খাতুন, ফালগুনী মুখার্জি, শিক্ষক আসাদুজ্জামান সরদার, আব্দুল কাদের,  বিভাষ কুমার দাম, আসমা খাতুন, তুষার কান্তি দত্ত, কাকলী রাণী পাল, ললিতা রাণী হালদার, শীমা হালদার, আমিরুল ইসলাম, এস কে কুদরত আলী, সঞ্জয় কুমার পাল, কল্যাণ কুমার রায়, জয়দেব দাস, মীর আরিফ হোসেন, অনুপ কুমার পাল প্রমুখ।অনুষ্ঠানে  দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, প্রভাষক হাফেজ মাওলানা এমদাদুল হক।

কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মু, সোহরাব হোসেন সরকার, কালিগঞ্জ, গাজিপুর :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ
কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
Spread the love

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ হাবিব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস এম মনজুর এ-এলাহী, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদৎ হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি প্রজেক্টরের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, তামাক সেবীদের নিরুৎসাহিত করা, তামাকজনিত মৃত্যু ও মানুষের অসুস্থতা বৃদ্ধি, সামাজিক দায়বদ্ধতাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনাসহ আইন সংক্রান্ত বিধি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল কর্তৃক দেয়া তথ্যের বরাদ দিয়ে তিনি আরোও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে সব পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহনে ধুমপান না করা,বিক্রয় স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।