মঙ্গলবার | ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৈনিক পাবলিক বাংলা বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র
বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র

পত্নীতলায় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত

মাসুদ রানা, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

পত্নীতলায় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত

মাসুদ রানা,পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্নীতলায় নোধুনী গ্রামে দিন ব্যাপী শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশের মানুষ আর তার শৈশবের স্মৃতিতে গ্রামের মেলা জড়িয়ে নেই, এটা হতেই পারে না। গ্রামের শান্ত নিথর জীবনে গ্রামীণ মেলা যেন আনন্দের বন্যা নিয়ে হাজির হয়। দৈনন্দিন জীবনের গণ্ডির বাইরে মেলা যেন একটা দমকা হাওয়া। যেখানে হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা। মানুষে মানুষে মিলবার জাত-পাত, ধর্মীয় পরিচয় পেছনে ফেলে এমন মিলবার জায়গা আর কোথায়? বাংলার এই মেলা ছাড়া! আর মেলা উপলক্ষে কুটুম স্বজন আসার কমতি থাকে না গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে বাড়ীতে যেন আনন্দের বন্যা, শিশু কিশোরদের হৈ হুল্লোড় মুখর হয়ে হঠে আসপাশের এলাকা।

রবিবার ৩১ বৈশাখ সকাল হতে রাত পর্যন্ত গ্রামের পাশে মাঠের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বসেছিল এ মেলা। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ রবিবারে এ মেলা বসে। তবে কবে থেকে এ মেলা শুরু হয়েছে তার নিশ্চিত ভাবে কেউ বলতে পারেনি তাদের ধারনা ১ শ বছর পুরাতন এ মেলা। অনেকেই এ মেলা কে মাদারের মেলা, হুরের মেলা নামে বলে থাকেন।
একদিনের এ মেলায় হাজার হাজার মানুষ দুর দুরান্ত থেকে মেলা দেখতে এবং কেনাকাটা করতে আসে। প্রতি বছরের ন্যায় এবার মেলায় উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্যনীয় ছিল। শিশু কিশোর সহ সব বয়সের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এসেছিল মেলা দেখতে।

মেলা ঘুরে দেখা যায় গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় দোকানে দোকানে মানুষের ভীড়। এক দিনের এ মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে দোকানীরা আগের দিন এসে দোকানে মিষ্টি, বাঁশ, বেত, মাটির তৈরী নকশি পাতিল, মাটির ব্যাংক, পুতুল , কাঠের তৈরী ফার্নিচার, কসমেটিক, খেলনা, বাশি, বেলুন, ঘুর্নি, লোহার তৈরী হাঁসুয়া বটি, চাকু,কাগজের ফুল নানা রকম মুখরোচক খাবারেরর দোকান দিয়ে নানান জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেন। এখানে মাটির তৈরী হাড়ি,পাতিল, ঢাকোন, প্রদীপ দেওয়া ছোট বাটি, ধুপ জালানো ধুপতীসহ নানা রকম মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি হয় । ছোটদের জন্য বিশেষ আকর্ষন নাগর দোলা ঘূর্নী, বাঁশি । আর এই মেলাকে ঘিরে আশ পাশের ১০ গ্রামের বাড়ীতে বাড়ীতে জামাই মেয়ে সহ আত্মীয় সজন আসা এবং খাওয়ার ধুম পরে।

মেলা দেখতে আসা পলাশ জানান, আমরা প্রতিবছর এই মেলার জন্য অপেক্ষা করি। এই মেলাতে এসে আনন্দ উল্লাসের মধ্যে অনেক কিছু কেনাকাটা করে থাকি। আদিবাসী নারী মনিকা রানী বলেন প্রতি বছর এ মেলা দেখতে আসি। মেলায় কসমেটিকস মিষ্টি সংসারে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনেছি।

গ্রামীন ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলা আর দেশীয় সংস্কৃতি লালনের উদ্দেশ্যে এমন আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

মেলা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন বাবা দাদার আমল থেকে খুব ছোট বেলায় দাদুর হাত ধরে এ মেলায় আসতাম। এখন আমরা করছি। প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে জামাই-মেয়েসহ আত্মীয় স্বজন মিলে এই মেলায় আসে। এই মেলা কে ঘিরে আমাদের গ্রাম ছাড়াও এলাকা জুড়ে বইছে আনন্দ উল্লাস।

আপনার মতামত দিন

Posted ৭:২১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
ড. সৈয়দ রনো   উপদেষ্টা সম্পাদক   
শাহ্ বোরহান মেহেদী, সম্পাদক ও প্রকাশক
গোলাম রব্বানী   নির্বাহী সম্পাদক   
,
ঢাক অফিস :

২২, ইন্দারা রোড (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

নরসিংদী অফিস : পাইকসা মেহেদী ভিলা, ঘোড়াশাল, নরসিংদী। ফোনঃ +8801865610720

ই-মেইল: news@doinikpublicbangla.com