হোসেন শাহ্ ফকির, জামালপুর থেকে :
মোঃ হোসেন শাহ ফকির, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি \ জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র, দশআনী নদীসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে ফসলি জমি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে তলিয়ে গেছে হাজার একর রোপা আমন ধান, বীজতলা ও শাক-সবজির ক্ষেত।
কুলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু বলেন, আমার ইউনিয়নের সম্পূর্ণ যমুনার বুকে। যে দিকে তাকাই শুধু পানি। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে রোপা আমন ধান, বীজতলা ও শাক-সবজির ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এই ইউনিয়নের অনেক ক্ষতি হবে।
নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ সুরুজ্জামান জানান, সোনামুখী, কড়ইতাইর, হাড়গিলা, কাজলা, কাঠমা, ব্রহ্মত্তোরসহ অনেক এলাকায় নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে হাজারের বেশি ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এবারের বন্যায় কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ.এল.এম রেজুয়ান জানান, সময়মতো বন্যা না হওয়ার কারণে কৃষকরা এক টুকরো জমিও খালি রাখেনি। এবার ৬৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। যদি ৭ দিনের মধ্যে নদ-নদীর পানি কমে যায় তাহলে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। বর্তমানে যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে পরিস্থিতি তাদের চরম ক্ষতির মুখে পড়বে। এবারের অকাল বন্যায় ৪৫ হেক্টর রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী (দেওয়ানগঞ্জ জোন) আফিজুর রহমান জানান, যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনের সময় আমরা দ্রæত বন্যা মোকাবেলায় মানুষদের সহযোগিতা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত রয়েছি।
মোঃ হোসেন শাহ ফকির
Posted ১১:৪৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১