মোঃ শেখ শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ, খুলনা থেকে :
মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে খুলনায় ৮৩ হাজার ৯৪৪ হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজি দরের চাল পাবেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এ সুযোগ থাকবে সেপ্টেম্বর-নভেম্বর পর্যন্ত। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল জেলায় এ কর্মসূচি চালু ছিল। করোনাকালীন কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় হতদরিদ্র পরিবার বড় ধরনের সুযোগ পায়।
স্থানীয় বাজারে মোটা চাল সর্বনিম্ন ৪৬-৪৮ টাকা, মাঝারি ৫২-৫৪ টাকা এবং চিকন চাল ৬৮-৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়। অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট নিরসনের জন্য সরকার চাল আমদানীর সুযোগও দিয়েছে। কিন্তু তার আগে প্রতিদিন হু হু করে দাম বাড়ছে। মিল মালিকরা বলেছেন ধানের মূল্য বেশী এবং বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়ায় চালের মূল্য বেড়েছে। খাদ্য বিভাগের সূত্র জানায়, হতদরিদ্র পরিবারের সংকট নিরসনে প্রতি বছরের ন্যায় সরকার ১ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালু রাখে। চলতি বছরের মার্চ এপ্রিল মাসে ৮৩ হাজার ৯৪৪ পরিবারের কাছে ১০ টাকা দরে চাল ১২ হাজার ৫৮৭ মেট্রিকটন চাল বিক্রি করা হয়। সেপ্টেম্বর থেকে ১৭৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি হবে। আগামী মাসে ২ হাজার ৫১৮ মেট্রিকটন চাল সরবরাহ করা হবে। প্রতি পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল কেনার সুযোগ পাবে। জেলার দুটি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামসহ উপজেলা পর্যায়ের ৮ টি গুদামে ৫৪ হাজার ৬৮০ মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে।বটিয়াঘাটা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, নতুন কার্ডধারীসহ ১০ হাজার পরিবারকে এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র পরিবার সুযোগ পাবে। ডুমুরিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুজিত কুমার অধিকারী জানান, স্বচ্ছতা রাখতে ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Posted ৯:২২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৭ আগস্ট ২০২১