শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৈনিক পাবলিক বাংলা বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র
বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র

পরিকল্পিত হত্যা কান্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ

হাজী জাহিদ নরসিংদী

পরিকল্পিত হত্যা কান্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার  অভিযোগ

নরসিদীতে পরিকল্পিত হত্যা কান্ডকে দূর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযোগটি করেছেন নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী। গত ১২ই আগষ্টে বৃহস্পতিবার রাত্র আটা-র সময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে চৈতন্য এলাকায় একটি কালো রং এর ভাড়া কৃত প্রাইভেট ( নোহ্যা) গাড়ি পিছন থেকে তাদের চালিত মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখার নগর ইউনিয়ন এর লোচন পুরা গ্রামের মরহুম শামসুল হকের ছেলে মোঃ শাহানশাহ বিপ্লব ও বেলাবো উপজেলার বাড়ৈচা এলাকার তোতা মিয়ার মেম্বার এর ছেলে মনিরুল ইসলাম মনির তখন থেকেই এই দুই পরিবার সহ এলাকা বাসীর অভিযোগ ছিল এটি দূর্ঘটনা নয় তাদের মৃত্যু ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড।এঘটনার সরজমিনে তদন্তে গেল বেরিয়ে আগে অনেক তথ্য। এ দূর্ঘটনার ব্যপারে নিহত মনিরুল ইসলাম মনির এর বাড়িতে গেল এলাকাবাসী ও মনিরের পিতা তোতা মিয়া মেন্বার জানান ইহা কোন সাধারণ দূর্ঘটনা নয় ইহা একটা পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। বিল্পবের ইউনিয়ন থেকে এইবার আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন এবং তার জনপ্রিয়তা ছিল বেশি এটাই তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে,এই ইউনিয়ন থেকে সৌদি প্রবাসী শিল্পপতি ওমর ফারুক মোল্লা ও প্রার্থী এজন্য তার প্রতিদন্ডি ওমর ফারুক মোল্লা পথের কাঁটা সরাতে বিপ্লবকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে দূর্ঘটনা বলে চালিয় দেয় ধরা চোয়ার বাহিরে থেকে বিপ্লবের সাথে আমার ছেলে মনির এর ও মৃত্যু হয়।আমরা সব পরিকল্পনা জেনে ফেলেছি কোথায় কি করেছে এবং কাকে ভারা করেছে তাদেরকে মারার জন্য এবং কার গাড়ি ভারা করেছে। শাহানশাহ বিপ্লব এর বাড়ি গেলে এলাকার লোকজন ও তার পরিবার ইহাই দাবি করেন যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড বিল্পবের ছোট দুই বোন কান্নাকাটি শুরু করে বলেন আমরা মনির ভাই ও বিপ্লব ভাই এর সাথে নরসিংদী যাই যাওয়া পথে দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি টি আমাদেরকে অনুসরণ করতে দেখি, মনির এবং বিপ্লব সহ দূর্ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে পুলিশ সুপার ডাকায় কিন্তু ওরা যায়নি। পরে পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা শেষে আমরা আদালতে যাই ওখানে গিয়ে ও আমরা গাড়িটি দেখতে পাই, আমরা ভাবতেও পারিনি এ গাড়ি দিয়ে দূর্ঘটনা ঘটিয়ে চাপা দিয়ে আমাদের ভাইকে মেরে ফেলবে।কাজ শেষ করে আমরা দু বোন সিএনজি দিয়ে বাড়িরর উদ্দেশ্য রওনা হই আর মনির এবং বিপ্লব মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে রওনা হয় আমরা বাড়িতে এসে তাদের মৃত্যুর সংবাদ পাই।নিহত শাহানশাহের মা আনোয়ারা বেগম বলেন আমরা তাদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই সমস্ত খোঁজ খবর নেয়া শুরু করি এবং আমরা জানতে পারি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড এই হত্যা কান্ডের মুল নায়ক এবং পরিকল্পনাকারী ওমর ফারুক মোল্লা ও একই এলাকার মৃত আতাউর মিয়ার মেয়ে সাবেক মহিলা মেন্বার পরিষ্কার বেগম।গত দুই তিন মাস আগে পরিষ্কার মেন্বরের ভাই জুয়েল সহ আরো এক ডাকাত ডাকাতি করার সময় জনগণের হাতে নিহত হয় পরবর্তীতে বিপ্লবেকে ও তার ভাই সোহাগকে দোষারোপ করে বিপ্লবের ও সোহাগের বিরুদ্ধে পরিষ্কার মেন্বার মামলা করে কোন লাভ হয়নি বিপ্লব নির্দোষ প্রমানিত হয় তারই জের ধরে পরিষ্কার মেন্বার বিপ্লবের প্রতিদন্ডি ওমর ফারুক মোল্লার সাথে হাত মিলিয়ে পরিকল্পিত ভাবে গাড়ি ভারা করে লোক ভাড়া করে দুজনকে হত্যা করে এবং আরো বলেন গত কোরবানি ঈদের রাত্রে ও অভিযুক্তরা বাড়িহামলা চালালে পুলিশকে খবর দিলে হামলা কারিরা পালিয়ে যায়। বিল্পবের মা আনোয়ারা বেগম প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ফারুক মোল্লা যাকে দিয়ে গাড়ি টি রিসিভ করে মামুন পিতা খোরশেদ, লোচন পুর, সৌদি আরব প্রবাসী শিল্পপতি মোঃ ওমর ফারুক মোল্লা, পিতা মান্নান লোচন পুর, ইব্রাহিম পিতা সুরুজ মিঞা, লোচন পুর, স্বপন পিতা মৃত রহমত আলী (গেদা) লোচন পুর, উপজেলা রায়পুরা,মেহেদী পিতা হানিফা,শিবপুর মৌলভী বাড়ি, সোহান পিতা হারুন গ্রাম হোসেন নগর উপজেলা বেলাব, মেরাবাচ্চু মিয়া বাহাদুর পুর কান্দাপাড়া, জাহাঙ্গীর পিতা শব্দর আলী,আলমগীর পিতা মৃত আবদুল হক জংলী শিবপুর,রুনা বেগম স্বামী ওমর ফারুক মোল্লা, এ হত্যাকান্ডের (নগতঅর্থায়ন কারী) এদেরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞেসাবাদ করলে বিপ্লর ও মনিরের হত্যার আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। গাড়ির মালিক মাসুম পিতা চাঁন মিয়া সাং বাড়ৈচা তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এব্যপারে গাড়ির মালিক এর ভাই ফরিদ শাহ্ বলেন ঘটনার দিন সকাল দশটায় তার বেয়াই সৌদি আরব প্রবাসী শিল্পপতি মোঃ ওমর ফারুক মোল্লা মোবাইলে যোগাযোগ করে গাড়িটি ভাড়া নেন এবং মামুন কে দিয়ে গাড়ি টি রিসিভ করে নিয়ে যায় মামুন সাথে একজন ড্রাইভার নিয়ে আসেন ড্রাইভার গাড়ি টি চালিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঐ দিন রাত্রে এই গাড়ি দ্বারা মনির এবং বিপ্লব এর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই নিরাপত্তা জনিত কারণে মাসুম বাড়ি থেকে চলে যান। এলাকা বাসী জানান মনির এবং বিপ্লব এর মৃত্যুর পর পরই অভিযুক্ত লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে চলে যায়।এব্যপারে বিপ্লবের ভাই সোহাগ জানান প্রবাসী শিল্পপতি মোঃ ওমর ফারুক মোল্লা ও পরিষ্কার মেন্বার এর পরিকল্পনায় মামুন ভাড়াটিয়া কিলার ও ড্রাইভার ঠিক করে বিপ্লব ও মনিরকে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে,বিদেশ থেকে স্বামী এবং দেশ থেকে স্রী রুনা বেগম নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তায় করে তাই ঘটনার অভিযোক্ত কারীদেরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞেসা বাদ করিলেই এ হত্যা কান্ডের মুল রহস্য উদঘাটন হবে। এঘটনার সরজমিনে তদন্তে মামুনের বাড়ি সহ অন্যান অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি সবাই পলাতক বলে জানা যায়।

আপনার মতামত দিন

Posted ১০:৫৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২০ আগস্ট ২০২১

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

ড. সৈয়দ রনো   উপদেষ্টা সম্পাদক   
শাহ্ বোরহান মেহেদী, সম্পাদক ও প্রকাশক
গোলাম রব্বানী   নির্বাহী সম্পাদক   
,
ঢাক অফিস :

২২, ইন্দারা রোড (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

নরসিংদী অফিস : পাইকসা মেহেদী ভিলা, ঘোড়াশাল, নরসিংদী। ফোনঃ +8801865610720

ই-মেইল: news@doinikpublicbangla.com