রবিবার | ২১শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৈনিক পাবলিক বাংলা বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র
বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

ফেরদৌস সিহানুক শান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, ওষুধ, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। এ ছাড়া করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহীর পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এতে রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় জেলায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তাই হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জেলাবাসীর।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনার ২য় ঢেউয়ের শুরুতে ১৮ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে ১২ জন চিকিৎসক ছিলেন। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীর চাপের কারণে ৭২ শয্যায় উন্নতি করা হয় করোনা ওয়ার্ড। কিন্তু শয্যার সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো হয় মাত্র ৮ জন।
ওয়ার্ডে ৭২ জন রোগী ভর্তি থাকলেও ২০ জন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে বলে জানান করোনা ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন ডাঃ আহনাক শাহরিয়ার। তিনি আরও জানান, ১০ জনের চিকিৎসকের দল ১৫ দিন করে সকাল, দুপুর ও রাত ৩ বেলা ডিউটি করেন। এর মধ্যে যারা রাতের ডিউটি করেন, তাদের পরের দিন ডিউটি দিলে খুব অসুবিধা হয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। তিনি আরও জানান, রক্ত জমাট না বাঁধে সেই ইনোক্সাপারিন ইনজেকশন বর্তমানে হাসপাতালে সরবরাহ নেই। ৪২ জন নার্স রয়েছেন, তবে নার্সের সমস্যা না থাকলেও আয়া, ওয়ার্ডবয় ও সুইপারের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রোগীর স্বজন জানান, হাসপাতাল থেকে সব রকম ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে অনেক গরিব রোগীর স্বজনদেরকে বাহির থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। আর মাত্র ৪ জন আয়া, ৪ জন ওয়ার্ডবয় ও ৪ জন পরিচ্ছনতাকর্মী দিয়ে সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে হাসপাাতাল কর্তৃপক্ষের। বিশেষ করে ওয়ার্ডে রোগীদের খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ সময়মতো পরিষ্কার না করায় নোংরা এবং পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বর্তমানে অক্সিজেনের প্যান্ট থেকে কেন্দ্রিয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ চালু হওয়ায় আর অক্সিজেনের সমস্যা নেই। তবে এই গরমে ঘনঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং-এ রোগীদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি কষ্টের মধ্যে।
একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, ডিউটিরত চিকিৎসকরা রোগীর কাছে কম যাচ্ছেন, তারা অনেক সময় নার্স দিয়ে কাজ সেরে নিচ্ছেন। আর দুপুরের খাবার সময়মতো দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া ৩টি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও দুটি চালু রয়েছে। দুটি লিফট থাকলেও লিফটম্যান না থাকায় ৮ তলায় করোনা ওয়ার্ড রোগীসহ স্বজনদের কষ্টের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আর ১টি লিফট এর কারিগরি সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে গণপূর্ত বিভাগ ঠিক করে দিচ্ছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মমিনুল হক জানান, এ হাসপাতালে কোভিড বেড সংখ্যা ৭২টি, বর্তমানে রোগী ভর্তি রয়েছেন ৬৭ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৪৬৩৫ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। আর ৩৯৩২ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। মারা গেছে ২০৭ জন। অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৯১টি।
এ দিকে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, সদর হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ, চিকিৎসক, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে বলা হয়েছে, দ্রুত সময়ে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ফেরদৌস সিহানুক শান্ত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

আপনার মতামত দিন

Posted ২:৩৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

ড. সৈয়দ রনো   উপদেষ্টা সম্পাদক   
শাহ্ বোরহান মেহেদী, সম্পাদক ও প্রকাশক
গোলাম রব্বানী   নির্বাহী সম্পাদক   
,
ঢাক অফিস :

২২, ইন্দারা রোড (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

নরসিংদী অফিস : পাইকসা মেহেদী ভিলা, ঘোড়াশাল, নরসিংদী। ফোনঃ +8801865610720

ই-মেইল: news@doinikpublicbangla.com