ফেরদৌস সিহানুক শান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা ইউসুফ আলী ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়ার জন্য গত এক বছর ধরে লালন-পালন করছেন একটি ছাগল। ভারতীয় হরিয়ানা জাতের ছাগলটির নাম রাজাবাবু। প্রায় ৮৫ কেজি ওজনের ছাগলটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বিক্রি নয়, বরং নিজের পরিবারের কোরবানির জন্য ছাগলটি লালন-পালন করেছেন ইউসুফ আলী। ইউসুফ আলী বলেন, আকার-আকৃতিতে যেমন বিশাল তেমনি ছাগলটির রয়েছে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তার পছন্দ ঠান্ডা বাসস্থান। যেখানে ঘুমাবে সেখানে ফ্যানের বাতাস দিতেই হবে। ফ্যান না দিলে ঘুমাতে পারে না। বর্তমানে লোডশেডিং থাকায় শুধুমাত্র রাজাবাবুর জন্যই বাড়িতে আইপিএস বসাতে হয়েছে। ঠান্ডা বাতাস না পেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাজাবাবু ওষুধ খেতে পারে না, তাই ইনজেকশন দিতে হয়। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন রাজাবাবু প্রায় ১৫০ টাকার খাবার খায়। গত বছর ঢাকা থেকে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে ৩২ হাজার টাকায় ক্রয় করেছিলাম। এরপর লালন-পালন শুরু করি। নিজের পরিবারের কোরবানির জন্যই রাজাবাবুকে প্রস্তুত করা হয়েছে। দুই মণের অধিক ওজনের বিশালদেহী ছাগল হলেও, রাজাবাবু অন্যসব ছাগলের মতোই স্বাভাবিক স্বভাবের। ইউসুফ আলী জানান, রাজাবাবুকে প্রতিদিন নিয়ম করে ৩-৪ বার খাওয়াতে হয়। দৈনিক খাদ্যতালিকায় রাজাবাবুকে দেওয়া হয় চাল, গম, ঘাস, কাঁঠাল পাতা, ডালের গুঁড়া এবং ভুট্টা। শরীরে পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত গোসল করানো হয়। এই প্রাণীটির মায়ায় পড়ে গেছি। অনেকে কিনতে চাইলেও তিনি বিক্রি করেননি। সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা দাম উঠেছিল রাজাবাবুর। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্রী রনজিৎ চন্দ্র সিংহ বলেন, দেশি জাতের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের তুলনায় ভারতীয় হরিয়ানা জাতের ছাগল আকার ও ওজনে বড় হয়। তবে ইউসুফ আলীর রাজাবাবু ছাগলের ওজন অন্যান্য ছাগলের তুলনায় বেশি হয়েছে। ইউসুফ আলীর ছাগল দেখে বোঝা গেল, এই জাতের ছাগলকে উপযুক্ত পরিবেশ দিতে পারলে বাড়িতেই বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালন করা যাবে।
Posted ২:১২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১