খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজিম-কাসেম সিন্ডিকেটের লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

মারুফ সরকার ,ঢাকা প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১, ১২:১০ অপরাহ্ণ
আজিম-কাসেম সিন্ডিকেটের লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
Spread the love

আজিম কাসেম দুজনেই দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তা হলে ও বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকতে না দেখা গেলোও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ছিলেন দুইজনের গভীর সক্ষতা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বেশ কিছু ছবি তার প্রমান করে দেয়।তারপর ও তাদের দুর্নীতি ও অনিয়ম চর্চার খবরগুলো থেকে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে। এমএ কাসেম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও চার বার ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজিম উদ্দিন আহমেদ। আগেও তিনি তিনবার এই দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি মিউচুয়াল গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান। এই দুজনের হাইপ্রোফাইল কর্পোরেট পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে এক ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেটের কাহিনী। তারা দুজনেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে একসঙ্গে একই সিন্ডিকেটে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ধরা যাক। সর্বশেষ এম এ কাসেমের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন আজিম উদ্দিন। সব মিলিয়ে দুজনেই ৪ বার করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার মানের দিক থেকে উপরের দিকে থাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় অনিয়ম রয়ে গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দেশের প্রথম সারির পত্রিকা গুলোতে লেখালেখিসহ বিভিন্ন টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার হলেও কী এক অজ্ঞাত কারনে দুজনেই রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের প্রমাণের কথা আগেই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনায় অনিয়ম, ভর্তি বাণিজ্য, সাধারণ তহবিল থেকে ট্রাস্টিদের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও পরিবারের সদস্য সহ বিদেশ ভ্রমণ, ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েক সদস্যের স্বেচ্ছাচারিতা ও আদালতে এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাসহ নানা বিষয়ে তদন্তের খবর ছাপা হয়েছিল পত্র-পত্রিকায়। সেসব সূত্র বলছে, ইউজিসির অনুমোদনের বাইরে একাধিক সেকশন চালু করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে এনএসইউতে। শুধু তাই নয় ট্রাস্টিদের গাড়িবিলাস নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় দুর্নীতির হোতা এম এ কাসেম ও আজিম উদ্দিন। মূলত এই দুজনের যোগসাজেশেই দুর্নীতির এই ধারা অব্যাহত রয়েছে এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের সাথেও প্রকাশ্যে মত বিরোধ রয়েছে। । ২০১৫ সালে ট্রাস্টিদের দুর্নীতি ও ইউজিসি তদন্তে চাপের মুখে পদ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হন তৎকালীন উপাচার্য আমিন উদ্দিন। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালযের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন এমএ কাসেম। এদিকে বছর দুয়েক আগে আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে গাড়িবিলাসের অভিযোগ ওঠেছিল ট্রাস্টিদের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের বেতন-ফির টাকায় বিলাসবহুল সাতটি গাড়ি কিনে ব্যবহার করছেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা। যতদূর জানা যায় সেই সময়েও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন এমএ কাসেম। ল্যান্ড রোভারের রেঞ্জ রোভার ২০১৯ মডেলের একেকটি গাড়ি ক্রয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। যদিও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় যে ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত তার ডিডে বলা হয়েছে, এ ট্রাস্ট মানবহিতৈষী, দানশীল, জনহিতকর, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও অবাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে। তাই ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রাস্টিদের গাড়িসহ অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা গ্রহণের সুযোগ নেই বলে জানান আইনজীবীরা। জানা যায়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বিলাসবহুল সাতটি গাড়ি কেনে ২০১৯ সালের জুন মাসে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনা সবগুলো গাড়িই রেঞ্জ রোভার ২০১৯ মডেলের। এদিকে এম এ কাসেম ও আজিম উদ্দিনের সিন্ডিকেটের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ট্রাস্টিরা কোনো সুবিধাই করতে পারেন না। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছর আশালয় হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে। অথচ এই জমি কেনার ব্যপারে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য ছিল।এ নিয়ে বিওটির সদস্য ড. রওশন আলম আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে একটি শীর্ষ স্থানীয় টেলিভিশন ২০১৮ সালে বিশদ অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রচার করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, জমি কেনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত বছরের আগস্টে ট্রাস্টিবোর্ডের দু’জন সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে তারা জানান, বোর্ডের অধিকাংশ সদস্যকে না জানিয়ে সভায় ৫০০ কোটি টাকায় জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই ভাবে জমির বায়না বাবদ পরিশোধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। তারা বলেন, সভায় অনুপস্থিত বোর্ড সদস্যদের উপস্থিত দেখানো হয়েছে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে। অন্যদিকে বিওটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানি বাবদ লক্ষাধিক টাকা গ্রহণ করেন বলে তদন্তকালে প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিওটির সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে শিক্ষাচুক্তি স্বাক্ষরের জন্য অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি সফর করেন, যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের পরিপন্থী। তদন্তকালে ভর্তি বাণিজ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিওটির সদস্য ও উপাচার্যের কোটা অনুযায়ী কিছু ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি করানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থী ভর্তি তথা ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ বহু দিন ধরেই রয়েছে। এ বিষয়ে ইউজিসি থেকে একাধিকবার তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সতর্ক করা হয়। তাছাড়াও জনাব আজিম- কাশেম সিন্ডিকেট তাদের আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব এর সন্তানদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-বৃত্তি প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।তদন্তকালে ইউজিসি দল এনএসইউর গ্রন্থাগার পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি তৎপরতামূলক হিযবুত তাহরীরের বই গ্রন্থাগারে পাওয়া যায়। তদন্ত কমিটি বলেছে, গ্রন্থাগারে এ ধরনের বই রাখা বেসরকারি আইনের ৬ (১০) ধারার লঙ্ঘন। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থী বিবেচিত হওয়া এনএসইউর গ্রন্থাগারের সংরক্ষিত নিষিদ্ধ সব বই পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে ইউজিসি। বহুদিন ধরেই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়টি জঙ্গি তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। জানা গেছে আজিম উদ্দিন ও এমএ কাসেম সিন্ডিকেট এর পেছনের মূল হোতা। অসর্থিত সূত্র জানাচ্ছে এই দুজনের হাত দিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠত পরিচালনার জন্য বিদেশি ফান্ড আসে বাংলাদেশে। মূলত কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আতাঁত বজায় রাখছেন এমএ কাসেম ও আজিম উদ্দিন সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন ধরেই এই সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর তাদের সময়কার দেশের অব্যন্তরে ঘটে যাওয়া নানা জঙ্গি কর্মকান্ড দেখলেই এদের সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যাবে। দেশে জঙ্গি তৎপরতায় ঘুরে ফিরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়(এনএসইউ) এর নাম আসছে। ২০১২-১৮ সালে দেশ-বিদেশে কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা বা হামলার ষড়যন্ত্রের ঘটনায় সম্পৃক্ত অধিকাংশই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কিংবা বর্তমান ছাত্র হওয়ায় বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয় ‘জঙ্গি উৎপাদনের কারখানা’ বা ‘জঙ্গিদের নিরাপদ অভয়ারণ্য’ হিসেবে সমালোচিত হচ্ছে।
কল্যাণপুরের ঘটনায় জঙ্গি হিসেবে সনাক্ত করা হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিফুজ্জামান খান, সেজাদ রউফ অর্ক ও তাজ-উল-হক রাশিক অর্ককে। গুলশান হামলায় নিহত নিবরাস ইসলাম একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হাসনাত করিমও নর্থ সাউথ থেকে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক। ২০১২ সালের অক্টোবরে নিউইয়র্ক শহরের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ভবন বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টার দায়ে আটক বাংলাদেশি যুবক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস দেশে থাকাকালীন নর্থ সাউথের ছাত্র ছিলেন। ২০১৩ সালে স্থপতি ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়ার দায়ে গ্রেফতার হওয়া ছয়জন ছিল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা হচ্ছেন- রেদোয়ানুল আজাদ ওরফে রানা, মো. ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপ, মাকসুদুল হাসান ওরফে অনিক, মো. এহসান রেজা ওরফে রুম্মান, নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ, নাফিস ইমতিয়াজ। ২০১৩ সালে আল কায়দার বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের প্রধান ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবি আইয়ের তালিকাভুক্ত জঙ্গি মুফতি শায়খ জসীম উদ্দীন রাহমানীর কাছের অনুসারী হিসেবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ছাত্র (বিবিএ) সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে গ্রেফতার করে ডিবি। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর ইতোপূর্বে এমন ভাবমূর্তি সংকটে কখনও পড়েনি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা বারবার জঙ্গি সম্পৃক্ততা এবং একাধিক হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত থাকলেও এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের আচরণে চরম উদাসীনতা প্রকাশ পেয়েছে। কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় নিহত জঙ্গিও এনএসইউ-এর ছাত্র। পরিচয় গোপন রেখে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার অপরাধে নর্থ সাউথের সহ-উপাচার্য পাবলিক হেলথের ডিন গিয়াসউদ্দিন আহসানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। এনএসইউ ট্রাস্টি বোর্ডের অনেকের বিরুদ্ধেই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠেছিল সেই সময়েই। আর এদের সবার পেছনে মূল হোতা হিসেবে রয়েছেন এম এ কাসেম ও আজিম উদ্দিন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যসহ আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষক সেখানে জঙ্গিবাদে যুক্ত হতে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করছেন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জঙ্গি সম্পৃক্ততার সঙ্গে যুক্ত- এমন তথ্য প্রমাণ মিলেছে অনেক আগে থেকেই। শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষকদের প্ররোচনায় নাকি পরিচালনা পরিষদের আস্কারার কারণেই জঙ্গি হচ্ছে, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তা হয়েও এম এ কাসেম ও আজিম উদ্দিনের এহেন দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের কারনে সফল ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো পড়ছে অস্তিত্ব সংকটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কঠোরভাবে দেশকে জঙ্গিমুক্ত করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন,তখন এ ধরনের লোকেরা করছেন জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতা। রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এদের বিরুদ্ধে বৃহৎ তদন্ত দরকার। নতুবা বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের পাশাপাশি জঙ্গিবাদের মতো মরণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
উক্ত অনিয়মের বিষয়ে তাদের আজিম কাসেমের মুঠো ফোনে কল দিলে ও তাদের মুঠো ফোন নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়।

দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ
দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার হবে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন
Spread the love

মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও পর্যটক নগরী কক্সবাজারকে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। বলতে গেলে বলা হয় পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানো হবে বলে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, পর্যটন বান্ধব সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারকে তুলে ধরা হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের তথ্যের অবাধ প্রবাহের বিষয়টি উল্লেখ করে আরো বলেন, দেশের সর্বত্র সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। আমরাও চাই দেশের অবকাঠামগত এবং পর্যটনে সংস্কার আসুক। এজন্য দরকার তথ্যের সহজ প্রাপ্তি। সাংবাদিকগণ যেন সহজেই জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন তার জন্য ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সেল গঠন করা হবে। যাতে করে সাংবাদিকরন সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেতে পারে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তথ্য প্রবাহের জন্য আমার অফিস সব সময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে। তথ্য প্রদান করতে গিয়ে আমার অফিস যেন মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হয় সেই বিষয়েও আপনাদের সচেতন থাকা জরুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভীষণ কান্তি দাশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাধারণ রুবাইয়া আফরোজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আতাউল গনি,প্রেসক্লাবের সভা মাহবুব আলম সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, ওসমানীসহ সিনিয়র সাংবাদিকগন।

রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
রূপসায় কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পবিত্র সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালিত
Spread the love

শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ বিশ্ব মানবতার মুক্তির দুত, কল্যাণকামী মানুষের মহান শিক্ষক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর উপর আলোচনা, হামদ- নাত পরিবেশন ও দোয়া মাহফিল রূপসা উপজেলার কাজদিয়া সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের আয়জনে  ঈদে সিরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল ও ইসলামী জলসা  উদযাপিত হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ অজয় সরকার। ইসলামী জলসা উদযাপিত কমিটির আহবায়ক প্রভাষক  মুহাঃ কামরুজ্জানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, বিদ্যালয় এসএমসির সাবেক সহসভাপতি খান আঃ রশিদ, সাবেক অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য্য , প্রাক্তন শিক্ষক সুশিল কুমার পাল, গুরুপদ পাল, সামছুর রহমান শেখ, কাজদিয়া সোনালি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক অসিত রায চৌধুরী। প্রভাষক মেজবাহ উদ্দিন সেলিমের সঞ্চালনায়  বক্তৃতা করেন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, সেলিম রেজা, বাশির আহম্মেদ লালু, মিলন কুমার দেবনাথ, রতন ঘোশ, খান মারুফুল হক, মল্লিক নজরুল ইসলাম, তাজমা খাতুন, ফালগুনী মুখার্জি, শিক্ষক আসাদুজ্জামান সরদার, আব্দুল কাদের,  বিভাষ কুমার দাম, আসমা খাতুন, তুষার কান্তি দত্ত, কাকলী রাণী পাল, ললিতা রাণী হালদার, শীমা হালদার, আমিরুল ইসলাম, এস কে কুদরত আলী, সঞ্জয় কুমার পাল, কল্যাণ কুমার রায়, জয়দেব দাস, মীর আরিফ হোসেন, অনুপ কুমার পাল প্রমুখ।অনুষ্ঠানে  দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, প্রভাষক হাফেজ মাওলানা এমদাদুল হক।

কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মু, সোহরাব হোসেন সরকার, কালিগঞ্জ, গাজিপুর :
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ
কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
Spread the love

মুঃ সোহরাব আলী সরকার, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ হাবিব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস এম মনজুর এ-এলাহী, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদৎ হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নুরী তাসমিন উর্মি প্রজেক্টরের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, তামাক সেবীদের নিরুৎসাহিত করা, তামাকজনিত মৃত্যু ও মানুষের অসুস্থতা বৃদ্ধি, সামাজিক দায়বদ্ধতাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনাসহ আইন সংক্রান্ত বিধি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেল কর্তৃক দেয়া তথ্যের বরাদ দিয়ে তিনি আরোও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে সব পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহনে ধুমপান না করা,বিক্রয় স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।