মোঃ হোসেন আলী শাহ্ ফকির,ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি ॥ ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েক দিনের টানা অবিরাম ভারী বর্ষণে দেশের নদ নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ইসলামপুর উপজেলার ৯নং গোয়ালের চর ইউনিয়নের সভারচর, গায়েন পাড়া, মোহাম্মদপুর ও চর মোহাম্মদপুর এলাকার কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙ্গেেনর সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সব এলাকার জনবসতি আতংকের মধ্যে রয়েছে।
জানাগেছে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে শুষ্ক মৌসুমে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ও বর্ষা মৌসুমে নদীর তলদেশে ঘূর্ণবর্তার সৃষ্টি হয়েছে ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকায় এ বছর নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের ফলে সভার চর গায়েন পাড়া, মোহাম্মদপুর, চর মোহাম্মদপুর এলাকার জনবসতিরা আতংকের মধ্যে দিনাযাপন করছে। নদীর তীরবর্তী জনপদ রাস্তা-ঘাট, মসজিদ, মাদরাসা ও চর মোহাম্মদপুরে একমাত্র নবনির্মিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী থেকে কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরত্বের কম হওয়ায় বিদ্যালয়টিও হুমকির মধ্যে রয়েছে। বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের বাড়ি ঘর ভাঙ্গনের আশংকায় অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। নদীর পাড়ে মিছিরন বিবি (৫০) ভারাক্রান্ত কন্ঠে বলেন, আমার বিয়ের পর এই নদী ভাঙ্গনের জন্য পঁচিশ বছর মোহাম্মদপুর আমার বাপের বাড়িতে ছিলাম। কষ্টে করে গত দশ বছর ধরে বাড়ি করে নিজ বাসস্থানে বসবাস করছি আবারও আমরা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ছি এখন আমরা কোথায় যাব আল্লাহই ভালো জানে।
মোহাম্মদপুর গ্রামের মগর আলীর বাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের ফলে বাড়িঘর ভেঙ্গে অন্যত্র নেয়া শুরু করেছে। গোয়ালের চর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাওলানা মোঃ মোশাররফ হোসাইন জানান- সভারচর গায়েন পাড়া নূরলের দশটি পরিবার ইতিমধ্যে ঘর বাড়ি অন্যত্র নিয়ে চলে গেছে। ওই পরিবারের সদস্যরা অন্যের বাড়িতে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদী ভাঙ্গনের ফলে কৃষকরা তাদের রোপনকৃত পাট কাটার উপযুক্ত সময় হওয়ার আগেই কাটতে হচ্ছে। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এ ব্যপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদকে জানান-আমি সরেজমিনে ভাঙ্গন এলাকা ও বাড়িঘর পরিদর্শন করেছি। মাননীয় ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি মহোদয়কে অনুরোধ করব তিনি যেন ভাঙন রোধকল্পে দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
Posted ১০:৫৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুলাই ২০২১