শুক্রবার | ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দৈনিক পাবলিক বাংলা বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র
বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র

ভেড়ামারা মহিষাডোরা গোরস্থানের দ্রুত সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

মোঃ শৌভন আহম্মেদ সবুজ, নিজস্ব প্রতিনিধি কুষ্টিয়া:

ভেড়ামারা মহিষাডোরা গোরস্থানের দ্রুত সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

মোঃ শৌভন আহম্মেদ সবুজ, নিজস্ব প্রতিনিধি কুষ্টিয়া: ভেড়ামারা উপজেলা সদর থেকে ৮/৯ কিঃমিঃ দুরে প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে অবস্থিত বলে ভেড়ামারার অন্যান্য এলাকার মসজিদ গোরস্থানের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও কর্তৃপক্ষীয় দৃষ্টি আকর্ষণের অভাবে আজ পর্যন্ত পবিত্র ও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি ধরমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাডোরা গ্রামের গোরস্থানটি।

গোরস্থানস্থলীয় জনপদের অধিবাসীরা অস্বচ্ছল বিধায় তাদের পক্ষে ব্যায়ভার নির্বাহ করে এর উপযুক্ত উন্নয়ন করা সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। বর্তমান করোনা মহামারী মৌসুমে মৃত্যুর হিড়িক পড়েছে চারিদিকে। এমতাবস্থায় দ্রুত ও নিরাপদে লাশ দাফনের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসীর দানকৃত ১ একর জমির উপর গোরস্থানটির বেহাল দশা সাংবাদিকদের নজরে এনেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন।

আজ বুধবার সরেজমিনে গোরস্থান এলাকা ঘুরে দেখেন এই প্রতিবেদক। কথা বলেন, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ অধিবাসীদের সাথে। তারা জানালেন, গোরস্থানটির বেশিরভাগ অংশ নীচু জমি। সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয়। যেসকল কবর এখানে হয়েছে সাম্প্রতিকাকোলে সেগুলো এখনো কাঁচা রয়েছে। আরো অধিক পরিমানে লাশ দাফন করতে গেলে চারপাশে মাটি ভরাট না করলে যথযথভাবে দাফন কার্য সম্পন্ন করা সম্ভব হবেনা। গোরস্থানের সরু রাস্তা কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল। ফলে খাটিয়ায় লাশ টানার সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গোরস্থানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাই এখানে মাটি দিয়ে জায়গাটি পূরণ করা প্রয়োজন।

সাবেক মেম্বার রবি জানালেন, গোরস্থানের কিছু অংশে সীমানা প্রাচীর আছে। কমিটি টাকার অভাবে দেয়াল দিতে পারেনি। গোরস্থানের পবিত্রতা রক্ষার্থে এর চার পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা দরকার। মহিষাডোরা গ্রামের কালু বিশ্বাস বললেন, আশেপাশের সব গোরস্থানেই জনগণের নেতা, প্রতিনিধি বা সরকার গেইট করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের অবহেলিত মহিষাডোরার দিকে কেউ ফিরেও তাকাননা। ভোটের সময় এসে শুধু ভোট চান। ভোট নিয়ে তারা জয়যুক্ত হয়ে চেয়ারে বসেন কিন্তু সামাজিক এই প্রতিষ্ঠানটির আর কোন খোঁজ-খবর নিতে ভুলে যান তারা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গোরস্থানের উপর ব্যাপক চাপ বাড়ছে।

আরেকজন এলাকাবাসী আক্কাস আলী বলেন, বাউন্ডারী, মাটি ফেলা, রাস্তা নির্মাণ ও গেট নির্মাণ হলে এই গোরস্থানটি অন্য ৮/১০টা এলাকার গোরস্থানের পর্যায়ে উঠতে পারবে। এখন দেখলে বোঝার উপায় নাই এটা গোরস্থান নাকি ভাগাড়। আক্কাস আলী আরো বলেন, মানুষের আত্মার চির বিদায়ের পর শ্রেষ্ঠ এই জীবের মরদেহ তার শেষ ঠিকানা হিসেবে গোরস্থানে স্থান পায়। কিন্তু আমাদের এখানে গোরস্থানটি আধুনিক বা আদর্শ গোরস্থানে রুপান্তরের বিষয়ে সরকারের বা নেতাদের মনে কোন আবেগ বা আবেদনের সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে আমরা ভাগ্যাহত। বর্তমান সময়ে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাস্ততম জায়গা হলো হাসপাতাল ও গোরস্থান। গোরস্থানে সম্মানের সাথে ব্যক্তিকে চির বিদায় জানানোর ও সৎকার বা দাফনের পর লাশ যাতে কুকুর শেয়ালে না খেয়ে ফেলে সেদিকে সরকারের অবশ্যই কিছু করার থাকলে করা উচিত।

এব্যাপারে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীনেশ সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে মাধ্যমের পক্ষে এই প্রতিবেদক এলাকাবাসীর দাবি, প্রাপ্যতা ও অধিকার নিয়ে কথা বললে তিনি বিষয়টিতে বেশ আন্তরিকতা দেখান এবং বলেন, এলাকাবাসী বা কমিটির পক্ষে আমার দপ্তরে আবেদন পত্র জমা পড়লে সংস্কারের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নেবে তার প্রশাসন।

আপনার মতামত দিন

Posted ৮:২০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ জুলাই ২০২১

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

ড. সৈয়দ রনো   উপদেষ্টা সম্পাদক   
শাহ্ বোরহান মেহেদী, সম্পাদক ও প্রকাশক
গোলাম রব্বানী   নির্বাহী সম্পাদক   
,
ঢাক অফিস :

২২, ইন্দারা রোড (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

নরসিংদী অফিস : পাইকসা মেহেদী ভিলা, ঘোড়াশাল, নরসিংদী। ফোনঃ +8801865610720

ই-মেইল: news@doinikpublicbangla.com