ফেরদৌস সিহানুক শান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ :
ফেরদৌস সিহানুক শান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা চালের বড় একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। চালভর্তি ভারতীয় ওয়াগনগুলো রহনপুর দিয়ে আমনুরা রেলজংশনে আসে। খালাসের পর চালগুলো ১১ জুন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্যগুদামে মজুদ করা হচ্ছে।
তবে ভারত থেকে আসা মালবাহী রেলের অব্যবস্থাপনায় নষ্ট হয়েছে ১০০ মেট্রিক টনের বেশি চাল। বৃষ্টিতে ভিজে এসব চাল নষ্ট হয়েছে বলে দাবি খাদ্য কর্মকর্তাদের। তারা বলছেন, বেশকিছু ওয়াগনের দরজা না থাকায় পলেথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল। এছাড়াও ওয়াগনগুলোর ছাদে ছিদ্র থাকায় বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। এতে নষ্ট হয়েছে আমদানি করা এসব চাল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারত থেকে ৪২টি রেলওয়াগনে ২৪২৯ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল এসেছে। ভারতের ছত্তিশগড় রেলস্টেশন থেকে লোড হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলবন্দর দিয়ে এসব চাল দেশে প্রবেশ করে। আমদানি করা চাল আমনুরা রেলস্টেশনে খালাস করা হয়েছে। ভারতের কলকাতার সৌভিক এক্সপোর্ট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এসব চাল রফতানি করেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার বাংলামোটরের মজুমদার ট্রেডার্স। চাল নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি আমনুরায় পৌঁছালে নমুনা সংগ্রহ করে বিভাগীয় কেমিস্ট ও মান যাচাই কমিটি। আমদানি করা চালের আদ্রতা ও অন্যান্য গুণগত মান যাচাই শেষে খালাস করা হয়।
আমনুরা রেলস্টেশনে আমদানি করা ভারতীয় চাল খালাসের দায়িত্বে থাকা উপ-খাদ্য পরিদর্শক মামদুদুর রহমান জানান, রেলপথে আসা ভারতীয় চাল বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। বেশকিছু রেলওয়াগনের দরজা না থাকায় পলেথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল। এছাড়াও ওয়াগনগুলোর ছাদে ছিদ্র থাকায় বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। এতে নষ্ট হয়েছে আমদানি করা এসব চাল। মান পরীক্ষা করে নষ্ট চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দেয়া হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা এলএসডির উপ-খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার সাব্বির আহমেদ জানান, ভারত থেকে সরকারিভাবে আমদানি করা এসব চাল আনলোড করে গুদামজাত করা হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৩ মেট্রিক টন চাল গুদামজাত করা হয়েছে। আনলোড হতে বাকি আছে আরও ৫৮ মেট্রিক টন চাল। ভারতীয় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সৌভিক এক্সপোর্ট লিমিটেড এসব চাল আমদানি করছে। তিনি আরও জানান, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হওয়ায় প্রায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিভাগীয় কেমিস্ট ও মান যাচাই কমিটি পরীক্ষা করে মানহীন হওয়ায় এসব চাল ফেরত পাঠানো হয়। আমদানিকারক মজুমদার ট্রেডার্সের প্রতিনিধিকে নষ্ট চাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিম্নমানের চাল গুদামজাত করার অভিযোগ প্রসঙ্গে খন্দকার সাব্বির আহমেদ জানান, নিম্নমানের চাল গুদামজাত করার অভিযোগ সঠিক নয়। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এসব চাল রফতানি করছে। আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে খাদ্য বিভাগ। আমার দায়িত্ব শুধু গুদামজাত করা।
Posted ৩:০৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ জুলাই ২০২১