শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৈনিক পাবলিক বাংলা বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র
বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র

ঈশ্বরদীতে করোনা শনাক্তের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে

শমিত জামান, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট :

ঈশ্বরদীতে করোনা শনাক্তের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে

ঈশ্বরদীতে করোনা শনাক্তের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে।

এত দিন ৯ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে শনাক্তের হার ওঠানামা করেছে। এবার সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টায় এক লাফে তা ১৬ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে। এ সময় নতুন করে ২৪ ঘন্টায় ১৩৭ জনের শনাক্ত হলেও করোনায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি।

শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা-সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। হিসাব অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় সরকারী এবং বেসরকারী ভাবে ৮৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এই সময় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২ ও ল্যাব টেস্টে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে । বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৬০ জনের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০৯ জন।

আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার ঈশ্বরদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন, ল্যাব টেস্ট ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২১২ জন। গত বছরের ৮ মে উপজেলায় করোনা ধরা পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এটাই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা শনাক্তর রেকর্ড হয়।

পরের দিন বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় এ উপজেলায় সরকারী এবং বেসরকারী ভাবে এক হাজার ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

তবে এদিনে করোনা উপসর্গে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই জন মারা যান। উপসর্গে মৃত্যুর কথা স্থানীয়রা জানালেও সঠিক পরিসংখ্যান জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ বিষয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠক সাবেক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাকশী ইউনিয়ন শিল্প-অধ্যুষিত ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) ৩৬ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। গত বছর করোনা সংক্রমণের শুরুতে এখানে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল না। নতুন করে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লকডাউন দেওয়া হলেও লোকজন স্বাস্থ্য সচেতনতায় উদাসীন। লোকজন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাফেরা করছেন। অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খান জানান, সংক্রমণ বাড়ছে। এতে উদ্বেগ ও আশঙ্কা রয়েছে। এভাবে প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ৫০ শয্যার হাসপাতালে ২টিতেই করোনা রোগী ভর্তি আছে।’

উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, ‘এক সপ্তাহ যাবৎ করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী। এটি অবশ্যই উদ্বেগজনক। কী করলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়, সেটি নিয়ে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে মিলে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের ২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও গাদাগাদি এড়াতে বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে। লকডাউন নিশ্চিতসহ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

আপনার মতামত দিন

Posted ৮:২৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ জুলাই ২০২১

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

ড. সৈয়দ রনো   উপদেষ্টা সম্পাদক   
শাহ্ বোরহান মেহেদী, সম্পাদক ও প্রকাশক
গোলাম রব্বানী   নির্বাহী সম্পাদক   
,
ঢাক অফিস :

২২, ইন্দারা রোড (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

নরসিংদী অফিস : পাইকসা মেহেদী ভিলা, ঘোড়াশাল, নরসিংদী। ফোনঃ +8801865610720

ই-মেইল: news@doinikpublicbangla.com