শুক্রবার | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দৈনিক পাবলিক বাংলা বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র
বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র

মনোহরদীতে কাউন্সিলারের পরকিয়াঃ সংর্ঘষে আহত দশ

হাজি জাহিদ, স্ট্যাফ রিপোর্টার :

মনোহরদীতে কাউন্সিলারের পরকিয়াঃ সংর্ঘষে আহত দশ

মনোহরদীতে কাউন্সিলারের পরকিয়া সংর্ঘষে আহত ১০

হাজী জাহিদ, ষ্ট্যাফ রিপোর্টার : নরসিংদীর মনোহরদী পৌরসভার এক কাউন্সিলরের পরকীয়ার ঘটনায় দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চন্দনবাড়ী চরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় ওই ওয়ার্ডের লোকজন কাউন্সিলর আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে জুতা ও ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউন্সিলর আকরাম হোসেন গত বৃহস্পতিবার রাতে একই এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন। অনৈতিক কাজের সময় স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকার শত শত লোক ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়। পরে তার স্ত্রী তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরই জের ধরে শনিবার সকালে একই এলাকার মোহাইমিন রাতুল নামে এক স্কুলছাত্র প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কাউন্সিলর আকরাম, তার ভাই আমির হোসেন, খলিলুর রহমান ও ভাতিজা ইমন মিলে তাকে মারধর করেন। এ সময় রাতুলকে ছাড়িয়ে নিতে আসলে ফুয়াদুল ইসলাম অপু, তৌহিদুল ইসলাম রনি, ছোলমান, উসমান, রুমা ও আমিনাকে বেদম মারপিট করে আহত করা হয়। ঘটনা শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অপরদিকে কাউন্সিলরের পরিবারের দাবি, আকরামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটানোর বিষয়ে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা দলবল নিয়ে আকরামসহ তার দুই ভাই ও ভাতিজাকে মারপিট করেন। তারা মনোহরদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত মোহাইমিন রাতুল বলেন, ‘আকরাম কাউন্সিলরের পরকীয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সন্দেহজনকভাবে আকরাম ও তার ভাইয়েরা আমাদেরকে মারপিট করেন।’
হালিমা নামে এক নারী বলেন, ‘কাউন্সিলর আকরামের অপকর্মের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও সে কয়েকজন নারীর সঙ্গে এমন অনৈতিক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা তার বিচার চাই।’
মনোহরদী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকরাম হোসেন বলেন, ‘পারিবারিক একটি ঝামেলা মেটানোর জন্য প্রবাসী সুমনের পিতা আমাকে ফোন দিলে আমি সেখানে যাই। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ওই বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গিয়ে আমাকে নিয়ে আসেন।
মনোহরদী থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে কোনো পক্ষই আমাকে জানায়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত দিন

Posted ৮:১২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২০ জুন ২০২১

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

ড. সৈয়দ রনো   উপদেষ্টা সম্পাদক   
শাহ্ বোরহান মেহেদী, সম্পাদক ও প্রকাশক
গোলাম রব্বানী   নির্বাহী সম্পাদক   
,
ঢাক অফিস :

২২, ইন্দারা রোড (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

নরসিংদী অফিস : পাইকসা মেহেদী ভিলা, ঘোড়াশাল, নরসিংদী। ফোনঃ +8801865610720

ই-মেইল: news@doinikpublicbangla.com