শনিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৈনিক পাবলিক বাংলা বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র
বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র

পড়ালেখার খরচ থেকে কিছু টাকা জমিয়ে এবং বন্ধুবান্ধবদের সহযোগিতায় গ্রামে গড়ে তুললেন নাঈমের জ্ঞানসিঁড়ি পাঠাগার

নঈম ইসলাম বাঙ্গালি :

পড়ালেখার খরচ থেকে কিছু টাকা জমিয়ে এবং বন্ধুবান্ধবদের সহযোগিতায় গ্রামে গড়ে তুললেন নাঈমের জ্ঞানসিঁড়ি পাঠাগার

পড়ালেখার খরচ থেকে কিছু টাকা জমিয়ে এবং বন্ধুবান্ধবদের সহযোগিতায় গ্রামে গড়ে তুললেন নাঈমের জ্ঞানসিঁড়ি পাঠাগার।

তরুণ কবি, সাহিত্যিক ও বইপ্রেমি নাঈম ইসলাম বাঙালি(২০) গ্রামে গড়ে তুললেন জ্ঞানসিঁড়ি পাঠাগার। স্থাপিতঃ ২০ ই নভেম্বর ২০২০ খ্রিঃ। ছোট থেকেই তার স্বপ্ন গ্রামে পাঠাগার গড়ার। প্রায় ৩ বছর ধরে এ স্বপ্ন দেখে আসছেন তিনি কিন্তু কোনো মতেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না, যার একমাত্র কারণ ছিল আর্থিক সমস্যা। সে যখন গ্রামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করার কথা অন্যেদের কাছে শেয়ার করে তখন অনেকেই তাকে নিয়ে তিরস্কার এবং হাসাহাসি করতো। কারও পায়নি কোনো সৎ পরামর্শ এবং ভালো উপদেশ, আর্থিক সহযোগিতা ত দূরের কথা। সেই থেকেই তার মনে প্রজ্ঞা। কোনো মতেই নিরাস হয়ে যায়নি সে। তার স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করেই যাচ্ছে নিয়মিত।অবশেষে লেখালেখি করে সম্মাননা হিসেবে আর্থিক কিছু টাকা জামানত হলো তার কাছে এবং পড়ালেখার খরচ থেকে সংগ্রহ করে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন। এই ছোট পরিসরে এবং বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে মোট ১০ হাজার টাকা একসাথে করতে পেরেছেন তিনি। এটাই ছিল তার একমাত্র সম্ভল, এ নিয়ে কাজ শুরু করে দিলেন তিনি। প্রথমেই ৪৫০০ টাকা দিয়ে একটা বুক সেলফ কিনেন আরও কিছু বই এবং টুকটাক অন্য অন্য কাজে কিছু টাকা ক্রয় করেছেন।। এ সামান্য টাকা দিয়ে কিছুই হলো না পাঠাগারের।

নাঈম ইসলাম বাঙালি বলেন, টাকার জন্য অনেকের কাছেই গিয়েছি সরকারি চাকুরীজীবী থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ ও বৃত্তমানদের কাছে কিন্তু কেউ আমাকে সহযোগিতা করে নাই আশ্বাস দিয়ে ঘুরিয়েছে কিন্তু পাঠাগারের জন্য বইয়ের কোনো ঘাটতি পড়ে নাই মুটামুটি ভালো বই সংগ্রহ করেছি আমি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এতোদিন কিন্ডারগার্টেনের একটি রোমে পাঠাগারের ভবন করেছিলাম প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে , যেহেতু কোভিট ১৯ মহামারি করোনার ভাইরাস এর জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন স্কুল প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার, তাই কিন্ডারগার্টেনে আমাদের পক্ষে থাকা আর সম্ভব হচ্ছে না।

আমাদের গাঠাগার এখন আবাসস্থলহীন টাকার জন্য আদৌ কোনো ঘর তুলতে পারি নাই।। আমাদের পাঠাগারের জন্য নিজস্ব জায়গা দিয়ে রাখছে এক ব্যক্তি কিন্তু এই ক্ষুদ্র চেষ্টায় কোনো মতেই সম্ভব হচ্ছে না ঘর তুলার। আরও পাঠাগারে পাঠকদের জন্য বসার চেয়ার টেবিল প্রয়োজন।
যদি কোনো সামর্থবান ব্যক্তির দৃষ্টি পড়ে থাকে জ্ঞানসিঁড়ি পাঠাগারে তাহলে মানবিকতা পরিচয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে পারেন জ্ঞানসিঁড়ি পাঠাগারের দিকে। সরকার এবং সমাজের বৃত্তমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি এ বিষয় নিয়ে।সহযোগিতার জন্য পাঠাগারের অফিসিয়াল ফোন নম্বর যোগাযোগ করুনঃ ০১৯৫৭৯০৭৫৫৩/০১৬০৯০৯৬৫১২।

এভাবে আলোকিত সমাজ গড়তে এবং আলোকিত মানুষ নির্মানে সমাজে কাজ করে যাচ্ছেন নাঈম ইসলাম বাঙালি।

আপনার মতামত দিন

Posted ৬:৪৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
ড. সৈয়দ রনো   উপদেষ্টা সম্পাদক   
শাহ্ বোরহান মেহেদী, সম্পাদক ও প্রকাশক
গোলাম রব্বানী   নির্বাহী সম্পাদক   
,
ঢাক অফিস :

২২, ইন্দারা রোড (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

নরসিংদী অফিস : পাইকসা মেহেদী ভিলা, ঘোড়াশাল, নরসিংদী। ফোনঃ +8801865610720

ই-মেইল: news@doinikpublicbangla.com