শুক্রবার | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দৈনিক পাবলিক বাংলা বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র
বিশ্বজুড়ে বাঙলার মুখপত্র

সালথায় আদালতের মাধ্যমে অর্পিত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিলো প্রশাসন

আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

সালথায় আদালতের মাধ্যমে অর্পিত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিলো প্রশাসন

ফরিদপুরের সালথায় দীর্ঘ কয়েক বছর মামলা পরিচালনার পর অবশেষে প্রকৃত মালিকগণ কে তাদের মালিকানা ও অর্পিত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে ১৮ নং সলিয়া মৌজার এসএ ১৫৭,১৯৬,২৭৭ নং খতিয়ানের যথাক্রমে ৩৬৫,৩৬৬,৩৬৭,৩৬৮,৩৬৯,৩৭০,৩৭১,৩৭২,৩৭৩,৩৭৪ নং দাগের মোট ৯৮ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তির মালিকানা বুঝে পেল প্রকৃত মালিকগণ।

বুধবার (১৪ অক্টোম্বর) বিকালে ওই সম্পত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের কাননগো মুহাম্মদ এরফান আলী, সার্ভেয়ার হারুর-অর রশীদ, ইউণিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সামনে ওই সম্পত্তিতে লাল ফ্লাক টাঙ্গিয়ে মালিকদের ওই জমি বুঝে দেয়। মামলার বিবরনী থেকে জানা যায়, প্রায় ৫০ বছর যাবৎ উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের সলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যু মমিন মুন্সি ছেলে আতিকুর  মুন্সি গং অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে এক একরের ও বেশি জমি সরকার থেকে লিজ নিয়ে  ও বাড়ি তৈরি করে  বসবাস করতে ছিলো । একই গ্রামের বাসিন্দা উপেন্দ্র নাথ দত্তের ছেলে রমেন্দ্রনাথ দত্ত জমি গুলো তাদের দাবি করে।

স্থানীয় ভাবে সুরাহা না হলে পরে তিনি আদালতে মামলা করেন। রমেন্দ্র নাথ দত্ত ওয়ারিশ সুত্রে মালিকানা দাবি করেন। তার দুই ভাই ৭১ সালের স্বাধীনতার আগেই দেশ ত্যাগ করে ভারতে পাড়ি জমায়। পরে তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।  পরে সরকারী রেকর্ডের সময় সম্পত্তি গুলো ক ও খ তফশীল ভুক্ত হয়। ওই ্এলাকা কয়েক মুসলিম পরিবার সরকারী ভাবে লিজ নিয়ে ভোগ করে আসছিলো। অন্যদিকে ২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন অনুযায়ী ২০১২ সালে মামলা দায়ের করেন রমেন্দ্র নাথ দত্ত। ২০১৩ সালে রমেন্দ্র নাথ তার পক্ষে রায় পায়। পরে আপিল কোর্টেও ২০১৫ সালে নিজের পক্ষেই রায় পায়। ২০১৭ সালে রায় ও ডিগ্রি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আদেশ দেয় আদালত।  নগরকান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান মাহমুদ রাসেল রায় বাস্তবায়নের লক্ষে উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানী করেন। গত বুধবার বিকালে ভূমি অফিসের স্টাফ গিয়ে তাদের অর্পিত ও মালিকানা সম্পত্তি সরেজমিন পরিমাপ করে বুঝিয়ে দেয়। মামলার বাদী রমেন্দ্র নাথ দত্ত বেঁচে না থাকায় তার পক্ষে জমি বুঝে নেন ছেলে সনজিৎ দত্ত গং।

 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) আহসান মামহমুদ রাসে বলেন, দীর্ঘদিন মামলা চলার পর প্রকৃত মালিক গনের পক্ষে রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বিজ্ঞ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশনায়  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। জমি বুঝে পেয়ে সনজিৎ দত্ত গং খুশি। সনজিৎ বলেন, দীর্ঘ সময় পওে হলেও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে আমি ও আমার পরিবার ঋনী।

 

আপনার মতামত দিন

Posted ৮:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
ড. সৈয়দ রনো   উপদেষ্টা সম্পাদক   
শাহ্ বোরহান মেহেদী, সম্পাদক ও প্রকাশক
গোলাম রব্বানী   নির্বাহী সম্পাদক   
,
ঢাক অফিস :

২২, ইন্দারা রোড (তৃতীয় তলা), ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

নরসিংদী অফিস : পাইকসা মেহেদী ভিলা, ঘোড়াশাল, নরসিংদী। ফোনঃ +8801865610720

ই-মেইল: news@doinikpublicbangla.com